‘ঢাই কিলো কা হাত’-এর জোর এখনও কমেনি সানি দেওলের। পর্দায় তারা সিং-এর ভয়ে এর আগেও কেঁপেছিল পাক মুলুক, এবার ফের সেই তেজ নিয়েই পর্দায় ফিরেছেন তিনি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য আদৌ পাক জনতাকে দায়ী করছেন না সানি। তাহলে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুংকারে গর্জে উঠছে জনতার ভিড়। আর তার মধ্যেই একাই একশো হয়ে উঠে আসছেন তারা সিং। নিজের ছেলেকে বাঁচাতে, দেশের মান বাঁচাতে যিনি বিপুল প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়ে যেতেও পিছপা নন। ‘গদর’ সিনেমায় তারা সিং-এর ভূমিকায় সেই দুরন্ত সাহসের পরিচয় রেখেছিলেন সানি দেওল। আর ২২ বছর পর ‘গদর ২’-তেও যে সেই শক্তি আর সাহস এতটুকু কমেনি, তা বলাই যায়। অন্তত নয়া সিনেমার ট্রেলার তো তেমনই সাক্ষ্য দিচ্ছে। কিন্তু পর্দায় যিনি গোটা পাক মুলুকের বিপক্ষে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বাস্তবেও কি পাকিস্তানের প্রতি ঠিক তেমনই মনোভাব রয়েছে তাঁর? সম্প্রতি কিন্তু অন্য সুরেই কথা বললেন অভিনেতা। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে অশান্তির পরিস্থিতি রয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে তার জন্য দায়ী করতে রাজি নন তিনি। বরং এই পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন পর্দার তারা সিং।
আরও শুনুন: ‘বড্ড অস্বস্তিকর কাজ!’ সঙ্গমে গীতাপাঠের বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে অকপট ‘ওপেনহাইমারে’র নায়ক
কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে সামনে এসেছে ‘গদর’ ছবির সিক্যুয়েল ‘গদর ২’-এর ট্রেলার। কার্গিল দিবসের দিনই ভারত-পাকিস্তানের পুরনো দ্বৈরথ উসকে দিল সেই ট্রেলারের দৃশ্য। ‘ক্রাশ ইন্ডিয়া’ হুংকার, পাক সেনাদের অত্যাচার, ভারতবিদ্বেষের ছবিতে ভরপুর সেই ট্রেলার। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়েই পাক আধিকারিককে তারা সিং সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, সুযোগ পেলে সে দেশের অর্ধেক নাগরিকই ভারতে গিয়ে থাকতে চাইবেন। অর্থাৎ, ভারতের প্রতি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের তেমন কোনও বিদ্বেষ নেই। আর ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে কার্যত সেই সুরেই কথা বললেন সানি দেওল-ও। ছবির নায়ক নায়িকা তারা সিং ও সাকিনা, অর্থাৎ সানি ও আমিশাকে দেখে বারবার ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন ভক্তরা। কিন্তু তার মধ্যেও সানি বুঝিয়ে দেন, ভারত-পাক সম্পর্কের অবনতির জন্য দুই দেশের সাধারণ মানুষকে দায়ী করা চলে না। বরং এই পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক নেতাদের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সানি।
আরও শুনুন: ভারতের জন্য বদল ‘ওপেনহাইমারে’র নগ্ন দৃশ্যে! খাজুরাহোর দেশেই ছুঁতমার্গ কেন, উঠছে প্রশ্ন
পর্দায় এহেন চরিত্রে অভিনয় করার বাইরেও রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে সানির। পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের বিজেপি সাংসদ কিন্তু মনে করছেন, দেওয়া নেওয়া নয়, মানবিক হওয়াটাই আসল কথা। আসলে দুই দেশের সাধারণ মানুষই শান্তি চায়। দু’পক্ষেই ভালবাসা রয়েছে। সেখানে ঘৃণা তৈরি করে দেয় রাজনীতির খেলা। এই বিবাদকে সামনে রেখেই রাজনীতি চলতে থাকে। ‘গদর’-এর মতো ‘গদর ২’-তেও বিদ্বেষের পাশাপাশি এই শান্তি চাওয়ার কথা উঠে আসবে, এমনটাই জানালেন সানি দেওল।