সবাই কনসার্ট দেখুক। এমনটাই চেয়েছেন শিল্পী। তার জন্য দক্ষিণা কমাতেও আপত্তি নেই। একবার নয় বেশ কয়েকবার এমনটা করেছেন। সম্প্রতি এই নিয়েই চর্চায় তারকা শিল্পী। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
গানের কনসার্ট। যে কেউ দেখতে পারেন। তবে টিকিট কাটতে হবে। সেখানেই সমস্যা। আকাশছোঁয়া দাম দেখে অনুষ্ঠান দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। অনেক সময় শিল্পী এসবের কিছুই জানতে পারেন না। কিংবা জানলেও তাঁর কিছু করার থাকে না। কারণ টিকিটের দাম ঠিক করার যাবতীয় দায়িত্ব থাকে আয়োজক সংস্থার। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। সম্প্রতি তেমনটাই করেছেন তারকা শিল্পী সুখবিন্দর সিং।
‘চক দে ইন্ডিয়া’, ‘দর্দে ডিসকো’ কিংবা ‘ছাইয়া ছাইয়া’, তালিকা মোটেও ছোট নয়। সব গানই পরিচিত বললে ভুল হয় না। নেপথ্যের কন্ঠ্য সুখবিন্দর সিং-এর। শাহরুখ, সলমন থেকে শুরু করে বলিউডের প্রায় সব নামজাদা অভিনেতার প্লে ব্যাক হিসেবে কাজ করেছেন সুখবিন্দর। তাই তাঁর কনসার্টে ভিড় হবে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভিড় অন্যান্য অনেক শিল্পীর কনসার্টের তুলনায় আলাদা। স্রেফ চাকুরীজীবীদের ভিড় নয়, এখানে গান শুনতে হাজির হন পড়ুয়ারাও। কারণ একটাই, সুখবিন্দরের কনসার্টে টিকিটের দাম থাকে সাধ্যের মধ্যে। অন্তত পড়ুয়াদের জন্য। কিন্তু কেন? শিল্পী নিজেই সে জন্য দায়ী।
অরিজিৎ, শ্রেয়া কিংবা সোনু নিগমের মতো শিল্পীদের গান সামনে থেকে শোনার স্বপ্ন থাকে অনেকের । প্রায়শই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এঁরা কনসার্ট করেন। দলে দলে তাতে ভিড় জমান ভক্তরা। তবে ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না সকলের। বাধ সাধে টিকিটের দাম। বিশেষ করে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে। তাঁরাই এই সমস্যায় পড়েন সবথেকে বেশি। কারণ রোজগার নেই। পকেট মানি বাঁচিয়ে একটা কনসার্টের টিকিট না হয় হল। কিন্তু দ্বিতীয়বার? এত টাকা কোথায় মিলবে! ভরসা সোশাল মিডিয়া। সেখানেই অনুষ্ঠানের ঝলক দেখে দিন কাটাতে হয়। তবে সুখবিন্দর সিং-এর ভাবনাচিন্তা খানিক অন্যরকম। টাকার জন্য তাঁর কনসার্ট কেউ দেখতে পাবে না, এমনটা মোটেও চান না তিনি। তাই কম দক্ষিণাতেও অনুষ্ঠান করতে রাজি হন। শর্ত একটাই কনসার্টের টিকিট যেন পড়ুয়ারা কিনতে পারেন অনায়াসে। পড়ুয়াদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকার বেশি না রাখার কথা বলেন সুখবিন্দর। তাঁর মতে, গান শোনানোর জিনিস, এই নিয়ে ব্যবসা করতে পছন্দ করেন না তিনি। সবাই আসুক, গান শুনুক, এমনটাই চান সুখবিন্দর। টাকার যেন বাধা না হয়। এমনিতে কোন শিল্পী কত টাকা নিল সেই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বেশ চর্চা হয়। টিকিটের দাম দিয়ে মান বিচার করা হয় শিল্পীর। অনেক সময় অতিরিক্ত টিকিটের দাম নিয়ে ট্রোলের বন্যা বয়ে যায়। অরিজিত, শ্রেয়ার মতো শিল্পীদেরও এই অভিজ্ঞতা কম হয়নি। এই আবহে কম টাকা নেওয়ার জন্য চর্চায় সুখবিন্দর। সবাই গান শুনুক, এমনটা সব শিল্পীই চান। তবে পেশার স্বার্থে দক্ষিণা নিয়ে আপস করতে পারেন না অনেকেই। সুখবিন্দর পেরেছেন। তাতে নেটদুনিয়ায় ভালোবাসাও কুড়িয়েছেন রাশি রাশি।