ভারত সরকারের থেকে পদ্মশ্রী, পরে পদ্মভূষণ সম্মানও পেয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী দেশের আইটি জগতের অন্যতম মুখ, আর জামাই খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এইসব পরিচয়ের ভার সুধা মূর্তিকে গুরুগম্ভীর করে তুলতে পারেনি মোটেও। তাই শাহরুখ-সলমনের মতো বলি নায়কদের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করতেও তিনি দুবার ভাবেন না। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সুধা মূর্তির পড়াশোনা, ভাবনাচিন্তা, কাজকর্ম সব দিক বিচার করলে তাঁকে খুব সিরিয়াস ধরনের একজন মানুষ বলেই মনে হবে। কিন্তু আদতে তিনি একেবারেই ভারিক্কি ধরনের নন, সাফ জানালেন সুধা মূর্তি। সারাক্ষণ বইয়ে মুখ গুঁজেও থাকেন না তিনি। ভালবাসেন কথা বলতে, মজা করতে, এমনকি হিন্দি সিনেমা দেখতেও। আজ্ঞে হ্যাঁ, এই বিখ্যাত লেখিকা নাকি বলিউডের সিনেমা দেখতে বেশ ভালবাসেন। এমনকি কে তাঁর স্বপ্নের নায়ক, সম্প্রতি এক টেলি শো-তে এসে সে কথাও ফাঁস করেছেন সুধা মূর্তি।
আরও শুনুন: ইনি ঋষি সুনাকের শাশুড়ি! সাদাসিধে সুধা মূর্তিকে দেখে বিশ্বাসই হয়নি বিমানবন্দর কর্মীর
তাঁর যৌবনে বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন দিলীপ কুমার। দিলীপ সাবের অন্ধ ভক্ত ছিলেন সুধা মূর্তিও। পরে একমাত্র একজন নায়ককে দেখেই তাঁর মনে হয়, দিলীপ কুমারের মতো অভিনয় করতে পারেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। বীর-জারা দেখে মুগ্ধ সুধা মূর্তি মেয়েকে জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমারের সময় থাকলে তিনিই এই সিনেমায় অভিনয় করতেন। এখন তিনি নেই, কিন্তু চমৎকারভাবে তাঁর জায়গা নিয়েছেন শাহরুখ। শুধু শাহরুখ-ই নন, আরেক খানের অভিনয়েও মুগ্ধ সুধা মূর্তি। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ সলমন খানকে দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, এমন নিষ্পাপ সারল্য কেবল তিনিই ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
আরও শুনুন: মাসে ১০ দিন কাজ, বছরে মাইনে ১.৩ কোটি, চাকরির বিজ্ঞাপনে শোরগোল নেটপাড়ায়
সুধা মূর্তি একদিকে ‘ইনফোসিস’ কর্তা নারায়ণ মূর্তির সহধর্মিণী, অন্য দিকে ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ এবং কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের শাশুড়ি। তবে শুধু এটুকুই তাঁর পরিচয় নয়। তিনি নিজেও একজন বিখ্যাত লেখিকা। কন্নড় এবং ইংরেজি সাহিত্যে বড় অবদান রয়েছে তাঁর। সমাজসেবী হিসেবেও রীতিমতো পরিচিত সুধা মূর্তি। এমনকি তার জন্য ভারত সরকারের থেকে পদ্মশ্রী ও পরে পদ্মভূষণ সম্মানও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এইসব প্রাপ্তি তাঁকে কোনোরকম অহংকার দেয়নি। এত কিছু সত্ত্বেও এখনও সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত সুধা মূর্তি। সম্প্রতি কপিল শর্মার শো-তে এসে তিনি জানালেন, ব্যক্তিগত জীবনে হাসিখুশি থাকাই তাঁর অভ্যাস। একদিকে যিনি সিরিয়াস অ্যাকাডেমিক চর্চাতে পটু, তাঁরই নাকি আবার বিনোদন জগতেও অবাধ আনাগোনা। সুধা মূর্তি জানিয়েছেন, একসময় এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে এক বছরের প্রত্যেকটা দিন একটা করে সিনেমা দেখেছিলেন তিনি। আর ৩৬৫ দিনে মোট ৩৬৫টি সিনেমা দেখে শেষমেশ বাজিও জিতে নিয়েছিলেন তিনিই, রীতিমতো গর্বের সুরে জানিয়েছেন সুধা মূর্তি।