রোহিত সেন ও শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে আপ্লুত বাংলা সিরিয়ালের দর্শক। মধ্যবয়সেও যে আসতে পারে প্রেম, এটা তারই কি স্বীকৃতি? আবার, যে সিরিয়ালে কেবল পুরুষদেরই বিয়ে দেখানো হয়, সেখানে মহিলাদের দ্বিতীয়বার বিয়ে দেখানো কি নতুন কোনও সামাজিক অর্জন। ছাপোষা একটি সিরিয়ালের দৃশ্যই খুলে দিচ্ছে ভাবনার নানা পরত।
প্রথমে ‘শ্রীময়ী’। তারপর ‘দেশের মাটি’। সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্প্রতি একই পথে হাঁটল দুই ধারাবাহিক। মিলিয়ে দিল দুই মধ্যবয়স্ক যুগলকে। যে বাংলা সিরিয়াল সম্পর্ক নিয়ে সাধারণত গতানুগতিক পথেই হাঁটে, সেখানে এহেন পদক্ষেপ বেশ অভিনব। তবে কি বদল আসছে বাংলা সিরিয়ালে? নাকি এ বদল সামগ্রিক ভাবে সমাজেরই?
আরও শুনুন: বিকিনি পরে অবসর যাপনে Priyanka Chopra, চোখ ফেরাতে পারছেন না অনুরাগীরা
কদিন ধরেই নেট দুনিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। রোহিত সেনের সঙ্গে শ্রীময়ীর বিয়ে হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শকেরা। শ্রীময়ীর সঙ্গে তার প্রাক্তন স্বামীর সম্পর্ক যতই খারাপ হোক, এই সংসার ছেড়ে সে যেন পাকাপাকি ভাবে চলে না যায়, এমন কথা বলেছিলেন কেউ কেউ। তবে তাঁরা নেহাতই সংখ্যালঘু। অধিকাংশ দর্শকই সোচ্চারে সমর্থন জানিয়েছেন শ্রীময়ীর রোহিত সেনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে। চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁরা আবেদনও জানিয়েছিলেন, এই যুগলের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথে যেন আর বাধা না আসে। অবশেষে তাঁদের চাওয়াকেই সম্মান জানিয়েছে ‘শ্রীময়ী’। নতুন ঘর বেঁধেছে রোহিত সেনের সঙ্গে।
আরও শুনুন: ক্যামেরার সামনে হস্তমৈথুন, কীভাবে প্রস্তুতি নেন অভিনেত্রীরা?
আর তার কয়েকদিন পরেই দেখা গেল, ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে জেঠুমণি ও বড়মার আবার হাত ধরার সম্ভাবনা। শ্রমণজিৎ মুখার্জি ও তাঁর স্ত্রী শুভলক্ষ্মী দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদের পথ পেরিয়েছেন। অথচ সেই বিচ্ছেদের মধ্যেও পরস্পরের প্রতি কোনও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি ছিল না। আবার এই মিলনের মধ্যেও সে অর্থে কোনও আপস নেই। বরং পরস্পরের প্রতি সম্মান, একে অন্যের প্রতি ভালবাসা ও ভাল চাওয়াই তাঁদের পথ মিলিয়ে দিচ্ছে আবার।
ভেবে দেখলে, এ নিয়ে এত কথার কী-ই বা আছে? দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অন্য কারও ক্ষতি না করে যদি একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে কারই বা কী বলার থাকতে পারে? কিন্তু সমস্যা হল, এই দুটি ক্ষেত্রেই নায়ক নায়িকা কেউ যুবক বা যুবতী নন।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।