অস্কারে সেরার শিরোপা পেয়েছে ‘নাটু নাটু’। সেই সূত্রে ছবির কলাকুশলীরাও পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি। সারা পৃথিবী যাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছে, তাঁরাও কিন্তু দেশের শিকড় ছুঁয়েই আছে। সংগীতের সূত্রে যেমন, তেমন নিজেদের জীবনের ক্ষেত্রেও। আর তাই দেশ ছেড়ে যেখানেই যান না কেন, ছোট্ট একটা মন্দির সঙ্গে করেই নিয়ে যান ছবির অন্যতম অভিনেতা রামচরণ। তাঁর এ কাজে প্রেরণা কে? আসুন শুনে নিই।
কথায় বলে ‘প্রবাসে নিয়ম নাস্তি’। অর্থাৎ, দেশের বাইরে গেলে সব নিয়ম-কানুন মানা কি আর সম্ভব! যা দেশে খুব সহজেই পালন করা যায়, তা হয়তো বাইরে পালন করতে গেলে অনেক অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। কথাটা আমরা বলি বটে, তবে বিদেশের মাটিতেও যে ভারতীয় আচার নিষ্ঠাভরেই পালন করা যায়, তা দেখিয়েই দিয়েছেন অভিনেতা রামচরণ। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, যেখানেই তিনি যান না কেন, ছোট্ট একটা মন্দির তাঁর সঙ্গেই থাকে।
আরও শুনুন: মোদিকেই অস্কারজয়ী ‘RRR’-এর পরিচালক বলে দাবি করবেন না যেন! বিজেপিকে খোঁচা বিরোধী নেতার
ধর্মীয় আচার-আচরণ বড় নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করেন অভিনেতা। বর্তমানে দেশের অন্যতম সফল ও খ্যাতিমান অভিনেতা তিনি। সেই তাঁকেও দেখা গিয়েছে খালি পায়ে হাঁটতে। নিরামিষ ছাড়া টানা চল্লিশ দিন কিছু মুখে তোলেন না। বিনোদন জগতের মানুষ হয়েও এরকম ভাবে নিয়ম পালন করা খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু এই সব ব্যাপারে কোনও রকম আপোষে রাজি নন অভিনেতা। বহু অনুষ্ঠানে এসে তিনি খোলাখুলিই জানিয়েছেন তাঁর ধর্মবিশ্বাসের কথা।
আরও শুনুন: অস্কারজয়ী ‘নাটু নাটু’ অপছন্দ অনেকেরই, নেটদুনিয়ার সমালোচনা দিচ্ছে কীসের ইঙ্গিত?
সম্প্রতি তাঁর আর এক রূপ দেখেও মুগ্ধ হয়েছেন অনুগামীরা। বিদেশের বিখ্যাত হোটেলে বসেও ভগবান রামের আরাধনা করছেন অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রী উপাসনা। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁরা যেখানেই যান না কেন, আরাধ্যের মূর্তি তাঁদের সঙ্গেই থাকে। রাম-লক্ষ্মণ-সীতা এবং হনুমান ও গণপতির মূর্তি তাঁদের নিত্যসঙ্গী। ছোট্ট একটা মন্দিরই নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান তাঁরা। তারপর যেখানেই থাকার সুযোগ হয়, সেখানে ঈশ্বরের আরাধনার আয়োজন করেন উপাসনা। দেশ হোক বা বিদেশ, ভক্তিভরেই নিত্য আরাধনা করেন তাঁরা দুজন। আর এভাবেই দেশকে, দেশের শিকড় ও দেশের আত্মাকে ছুঁয়ে থাকেন তাঁরা।
আরও শুনুন: ‘নাটু নাটু’ কি শুধু নাচের গান! অস্কার জয়ের পর আসল অর্থ খুঁজছে দেশবাসী
প্রত্যাশিত ভাবেই, অভিনেতার এই ধর্মাচরণ সাড়া ফেলেছে নেটদুনিয়ায়। সকলেই তাঁদের এই কাজের প্রশংসা করেছেন। চূড়ান্ত খ্যাতি সাফল্য বা বিদেশের বসবাস- কোনও কিছুই যে দেশের শিকড় থেকে কাউকে বিচ্যুত করতে পারে না, রামচরণের এই কাজ সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছে। যাকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারেনি নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।