শুটিং, অর্থাৎ সিনেমার ছবি তোলা। কিন্তু সেখানেই ঘটছিল আরেকরকম শুটিং, অর্থাৎ গুলি ছোঁড়ার ঘটনা। আর তার জেরেই পর্ন ছবির শুটিংয়ের সেটে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক সে কাণ্ড।
বলতে পারেন শুটিং বনাম শুটিং। একদিকে সিনেমার ছবি তোলা, আরেকদিকে গুলি ছোঁড়ার কাণ্ড, আর এই দুরকম শুটিংয়ের জেরেই পুলিশের হাতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল এক পর্ন ছবির কলাকুশলীদের। অবশ্য পুলিশবাহিনীও কম নাকাল হয়নি। এ তো কেবল কথার খেলা নয়, অকুস্থলে পৌঁছে রীতিমতো তদন্ত চালাতে হয়েছিল পুলিশদের। ফার্ম হাউসে সশস্ত্র তল্লাশির খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছেছিল পুলিশ। কারণ এমন কোনও তদন্তের খবর ছিল না তাদের কাছে। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সোজা এক পর্ন ছবির শুটিংয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ। দেখা যায় সবটাই আসলে বড়সড় ফাঁকি।
আরও শুনুন: সৈনিকের পেশা বদলে হলেন পর্ন তারকা, কিন্তু স্তন প্রতিস্থাপনের জন্য কী করলেন অভিনেত্রী?
কী ঘটেছিল ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এক মজার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন পর্ন ছবির তারকা ড্যানি ডি। পর্ন ছবির শুটিংয়ে কেবল শরীরী কসরতই চলে না, সেখানে যে আরও নানারকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়, সে কথাই জানাচ্ছিলেন এই পর্নস্টার। আর সে প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, একবার নীল ছবির শুটিং করতে গিয়েই খোদ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। না, বেআইনি কিছু করছিলেন না তাঁরা। এই শুটিং করার জন্য প্রয়োজনীয় সব আইনি ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেদিন তাঁরা পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করছিলেন। কারও কারও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্রও। স্থানীয় ক্লাব থেকে কয়েকজন বাউন্সারকেও ভাড়া করে আনা হয়েছিল। এদিকে যে ফার্ম হাউসে শুটিং চলছিল, তার লাগোয়া রাস্তা থেকে এই কাণ্ড দেখতে পান পথচারীরা। বন্দুক রিভলভার হাতে কয়েকজন ব্যক্তি একটি গাড়ি ঘিরে ধরেছেন, আর ড্যানি ওই গাড়িতেই বসে, এসব দেখে তাঁরা আশঙ্কা করেন, বাড়িটির বাসিন্দাদের নির্ঘাত কোনও বিপদ ঘটেছে। ভয়ে ভয়ে সোজা পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দেরি না করে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় পুলিশও। আর তারপরেই গল্পে নয়া টুইস্ট।
আরও শুনুন: ৩০০ পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে যৌনতার রেকর্ড! পর্ন তারকার যুগ শেষ বলে দাবি করলেন সেই অভিনেত্রীই
পুলিশ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ছবির কলাকুশলীরাও। থমকে যায় ছবির শুটিংয়ের কাজ। দ্রুত পুলিশের পোশাক বদলে ফেলেন অভিনেতারা। তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্রগুলিও পরীক্ষা করে দেখে পুলিশ। আসলে নকল পুলিশের মতোই অস্ত্রগুলিও ছিল নকল। সব দেখেশুনে শেষমেশ সবাইকে রেহাই দেয় পুলিশ। এই আকস্মিক ঝক্কি থেকে মুক্তি পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলেই। শুটিংয়ে ঘটা মজার অভিজ্ঞতা হিসেবেই সেই ঘটনাটিকে মনে রেখে দিয়েছেন অভিনেতা।