গানে পাওয়া বেলা বোসের ফোন নম্বর ডায়াল করে বেলাকে খুঁজেছেন হয়তো অনেকেই। সেই একইভাবে, সিনেমায় পাওয়া নম্বরে ফোন করেই সাই পল্লবীর সঙ্গে কথা বলতে মরিয়া ভক্তেরা। আর ভক্তদের অনুরাগের ঠেলায় প্রাণ ওষ্ঠাগত এই যুবকের!
হ্যালো, এটা কি 244 – 1139? এই প্রশ্ন যে কতদিন ধরে তাড়িয়ে ফিরছে বাঙালি যুবকদের! আর তারপরেই সেই কাতর আর্জি, ‘দিন না ডেকে বেলাকে একটিবার!’ গানে পাওয়া বেলা বোসের ফোন নম্বর ডায়াল করে বেলাকে খুঁজেছেন হয়তো অনেকেই। কে জানে, সে টেলিফোন কোথায় কার কাছে গিয়ে পৌঁছেছিল! তবে এই টেলিফোন কিন্তু পৌঁছেছে। ঠিক না হোক, ভুল গন্তব্যেই সই। সিনেমায় নায়িকার যে নম্বর পাওয়া গিয়েছে, সেই নম্বরে ডায়াল করেছেন যাঁরা, তাঁদের ফোন গিয়ে পৌঁছেছে এক যুবকের কাছে। আর সেই ফোনের জোয়ারেই তাঁর প্রাণ ওষ্ঠাগত, জানালেন ওই যুবক।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আসলে যত দোষ, সবই একটি ব্লকবাস্টার সিনেমার। দীপাবলিতেই মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণী ছবি ‘আমারান’। সেখানেই এক দৃশ্যে দেখা যায় নায়কের দিকে একটি কাগজ ছুড়ে দিচ্ছেন নায়িকা সাই পল্লবী। তাতে লেখা ছিল নায়িকার ফোন নম্বর। সে নম্বরে যদি সাই পল্লবীকে পাওয়া যায়, এই আশাতেই ওই নম্বরে ফোন করে চলেছেন অনুরাগীরা। আর গোল বেধেছে এখানেই। দেখা যাচ্ছে, ওই নম্বরের বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন চেন্নাইয়ের পড়ুয়া যুবক বাগীশন ভি ভি (Vaageesan V.V.)। তাঁর সঙ্গে ওই সিনেমার বা সিনেমার কলাকুশলীদের দূর দূর পর্যন্ত সম্পর্ক নেই। কিন্তু ঘটনাচক্রে ওই ফোন নম্বরটি তাঁরই। ফলে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই অজস্র কল পেয়ে চলেছেন তিনি। বহু অপরিচিত মানুষই ফোন করে ফেলেছেন ওই নম্বরে। ভয়েস মেসেজও পাঠিয়ে রাখছেন অনেকে। তাঁরা সাই পল্লবীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন, অথবা তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করতে চাইছেন। আবার যাঁর জীবন অবলম্বনে এই ছবিটি তৈরি, সেই শহিদ মেজর মুকুন্দ ভরাদারাজন-এর স্ত্রী ইন্দু রেবেকা ভার্গিস-এরই নম্বর এটি, এমনটাও ভাবছেন কেউ কেউ।
বাধ্য হয়ে দীপাবলির দিন ফোন মিউট করে রেখেছিলেন যুবক। তবে পরদিন সকালেই ঘুম ভেঙে ১০০টি মিসড কল আর অজস্র ভয়েস মেসেজ পান তিনি। সব মিলিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মিলের দরুন বেশ গোলমালেই পড়েছেন ওই যুবক।