ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গভীর চুমু! উত্তেজনায় দর্শকের শ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড়! কিন্তু সকলের সামনে সে দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে ঠিক কেমন লেগেছিল নায়িকার? সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন নীনা গুপ্তা। আসুন শুনে নিই।
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খাচ্ছেন যুগল। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমনটা সহজেই কল্পনা করতে পারেন যে কেউ। সিনেমাতেও এই দৃশ্য যথেষ্ট স্বাভাবিক। তবে একসময় তা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। বাস্তবে তো বটেই, পর্দায় কাউকে চুমু খেতে দেখলেও চোখ কপালে উঠত অনেকের। ভারতীয় টিভির সেই দর্শককেই প্রথমবার চুমু খাওয়া শিখিয়েছিলেন নীনা গুপ্তা।
আরও শুনুন: রোজ অফিসে যাওয়ার দরকার নেই! ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাবে কি অন্য সুর গোয়েঙ্কার?
সিনেমা, টেলিভিশন থেকে শুরু করে হালের ওয়েব-সিরিজ, সবেতেই সমানভাবে জনপ্রিয় এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। আজীবন তিনি চলেছেন নিজের শর্তে। পর্দায় তো বটেই, নিজের জীবনেও বেশ কিছু ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করেছেন নীনা। ভারতীয় টিভির দর্শককে প্রথমবার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেও শিখিয়েছিলেন সেই তিনিই। যদিও এই সাহসী পদক্ষেপের জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন নীনা। অন্য কিছু নয়, তাঁর নিজের কাছেই এই বিষয়টা হজম করা সহজ ছিল না। সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে সেদিনের সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন খোদ নীনা। আসলে এই ঘটনা যে সময়কার তখন আর যাই হোক, পর্দায় যৌনতা দেখতে মানুষ একেবারেই অভ্যস্ত নন। ভারতীয় দর্শক তো নয়-ই। সুতরাং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছেও একেবারে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খাওয়া বেশ সাহসী পদক্ষেপ। যতই অভিনয় হোক, বাস্তবে অন্য একজনের এতটা কাছে পৌঁছে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না অনেকের কাছেই। যদিও নীনার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল অন্য। তাঁর কথায়, ভালোবাসার মানুষ নন, এমন কারও ঠোঁটে কীভাবে ঠোঁট রাখবেন? প্রথমবার এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে শুনেই নাকি, হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল নীনার। তাঁর কথায়, শুটিং-এর আগের দিন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারেননি সেই চিন্তায়। শারীরিক মানসিক, কোনও দিক দিয়েই এই কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না নীনা। তবু তিনি অভিনেত্রী। তাই নিজেকে বারবার বুঝিয়েছিলেন এমনটা করছেন অভিনয়ের খাতিরেই। তাই শেষমেশ ওই সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেই ফেলেন নীনা। উলটো দিকে ছিলেন সেই সময়কার হট ফেভারিট নায়ক দিলিপ ধওয়ান। তিনি যেমন সু-পুরুষ, তেমনই বলিষ্ট অভিনেতা। সেদিক দিয়ে তাঁকে চুমু খেতে আপত্তি জানানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না, এমনটাও স্বীকার করেছেন খোদ নীনা। তবু তাঁর কাছে দিলীপের পরিচয়, একজন বন্ধু বা সহ অভিনেতা হিসেবেই। ভালোবাসার মানুষ তিনি নন। তাই দিলীপকে চুমু খেয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন নীনা।
আরও শুনুন: ‘দেশের জন্য ৪০ ঘণ্টা, নিজের জন্য ৩০ ঘণ্টা’, মূর্তির সমর্থনে মাহিন্দ্রা সিইও
এখানেই শেষ নয়। চুমু খাওয়া তো শেষ। কিন্তু তারপর যে অস্বস্তি আরও বেড়েছে! তাহলে উপায়? সোজা মুখে ধুতে ছুটেছিলেন নীনা। তাও আবার স্রেফ জল দিয়ে নয়, একেবারে ডেটল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেছিলেন অভিনেত্রী। এদিনের ইন্টারভিউতে সেকথা নিজে মুখেই জানিয়েছেন নীনা। যদিও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমনটা ভাবাও কঠিন। ওয়েব-সিরিজ বা সিনেমায় স্রেফ চুমু নয়, আরও অনেকধরনের সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায় নায়ক-নায়িকাদের। খোদ নীনাও এই ধরনের ওয়েব-সিরিজে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এত কাণ্ড করে যে চুমু সেদিন তিনি খেয়েছিলেন, তা সরিয়ে দিতে বাধ্য হন নির্মাতারা। অভিযোগ, এই ধরনের আচরণ কিছু দর্শকের ভাবাবেগে আঘাত করছে। বিশেষত টিভির এই শো-টি মূলত ফ্যামিলি শো ছিল। তাই সকলের সঙ্গে ড্রয়িংরুমে বসে দেখার জন্য এই ধরনের দৃশ্য ছিল একেবারেই না পসন্দ। তাই শেষমেশ ওই চুমুর অংশটুকু ডিলিট করে দেওয়া হয়। তবু, একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই, ভারতীয় টিভির দর্শকদের প্রথমবার চুমু খাওয়া শিখিয়েছিলেন নীনা-ই।