চাইলেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন সোনু সুদ, কিংবা উপমুখ্যমন্ত্রী। একেবারে বাঁধাই ছিল রাজ্যসভার টিকিট! কিন্তু না, সেইসবই অস্বীকার করেছেন সোনু। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজেই জানালেন সেই কথা। ঠিক কী বললেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সেলিব্রিটিদের রাজনীতির জগতে আসা, নতুন কিছু নয়। অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়, একটু পরিচিত মুখ হলেই রাজনীতির ময়দানে দেখা মেলে। এরপর কেউ কেউ সক্রিয়ভাবে রাজনীতিই শুরু করেন। কিন্তু পরিচিতি পেলেই যে রাজনীতির জগতে আসতে হবে, এমনটা নয়। সেই উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি, সোনু সুদের কথাই ধরা যাক!
অভিনয় জগতে ভিলেন হিসেবেই পরিচিত সোনু। তবে দীর্ঘদিন সেভাবে ক্যামেরার সামনে আসেননি। বরং হয়ে উঠেছেন মসিহা! স্পষ্ট করে বললে অসহায়, দরিদ্র মানুষের কাছে ত্রাতা হিসেবে ধরা দিয়েছেন সোনু সুদ। লকডাউনের সময় থেকেই বারবার খবরেরে শিরোনামে এসেছে তাঁর নাম। কখনও বাড়ি ফিরতে না পারা পরিযায়ী শ্রমিককে সাহায্য করা, কখনও কারও স্কুলের ফিস জমা করা, ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন সোনু। তাতে নামও হয়েছে তাঁর। গোটা দেশজুড়ে নতুনভাবে পরিচিত পেয়েছেন সোনু। আর এই খ্যাতির খাতিরেই নাকি ক্ষমতার টোপ এসেছিল অভিনেতার কাছে। সম্প্রতি নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। অন্যান্য পরিচিত মুখেদের মতো তাঁকেও রাজনীতির ময়দানে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। নেপথ্যে কে বা কারা ছিলেন, তা বলেননি সোনু। স্রেফ জানিয়েছেন এমন কেউ তাঁকে এই সুযোগ দিতে চেয়েছিল, যার ক্ষমতা অনেক। প্রথমেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব যায় সোনুর কাছে। তার জন্য অবশ্যই নির্বাচনে জিততে হত সোনুকে, কিন্তু জিতলে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জনৈক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে রাজি না হওয়ায় উপমুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রত্যাখ্যান করে দেন সোনু। এরপরও হাল ছাড়েননি ওই দলের সদস্যরা! সোনুকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চান তাঁরা। এতেও অবশ্য লাভ হয়নি। রাজনীতির জগতে কোনওভাবেই আসবেন না, সাফ জানিয়ে দেন সোনু।
কিন্তু কেন?
অভিনেতার দাবি, সবাই রাজনীতি করেন ক্ষমতা আর টাকার লোভে। তাঁর এইসব প্রয়োজন নেই। তিনি মানুষের সেবা করতে চান, সেই কাজ এমনিই করছেন। এর জন্য যেটুকু তাঁর সামর্থ্য, তাই যথষ্ট। শুধু তাই নয়, রাজনীতির জগতে এলে স্বাধীনতা হারাবেন এমনটাও মনে করছেন সোনু। তাই এপথে পা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই বলেই সাফ জানিয়েছেন অভিনেতা। রাজনীতিতে আনার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় বলেও দাবি সোনুর। গাড়ি,বাড়ি তাঁর এমনিই রয়েছে, রাজনীতির জগতে এলে বাড়তি ক্ষমতা ভোগেরও সুযোগ পেতেন। তবুও রাজি হননি। আগামীতেও এমনটা করার ইচ্ছা নেই তাঁর। যেভাবে মানুষের সেবা করে চলেছেন, সেইভাবেই করে যেতে চান বরাবর।