চুমুর দৃশ্যে অভিনয়! অনেকের কাছেই এসব জলভাত। বিশেষ করে, তিনি যদি চেনা মুখ হন। তবে আজকের দিনে যিনি ‘হিট’ নায়ক, ক্যারিয়ারের শুরুতে সেই তিনিই যে চুমু খেতে ঘাবড়ে যাননি, কে বলতে পারে? বলিউড সাক্ষী রয়েছে এমন ঘটনারও, যেখানে নায়ক ৩৭ বার রিটেক নিয়েছিলেন স্রেফ একটা চুমু খেতে! কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চুলের ঢেউ, ঠোঁটের ফাঁকে দুষ্টুমি মাখা হাসি আর একের পর এক হিট ছবি। সব মিলিয়ে ইনি বর্তমান প্রজন্মের হার্টথ্রব। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, একটা দৃশ্যে অভিনয় করতে ৩৭ বার রিটেক নিতে হয়েছিল এই অভিনেতাকে। তাও আবার, চুমুর দৃশ্যে।
সিনেমা সিরিজে যৌনগন্ধী দৃশ্য, নতুন কিছু নয়। অভিনেতারাও তাতে স্বচ্ছন্দ্যে অভিনয় করেন। সিনেমা রিলিজের পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের হালকা চালে কথাবার্তায় সেই আভাস মেলে। বিশেষ করে যারা নতুন প্রজন্মের উঠতি নায়ক! এইসব বিষয়ে তাঁরা বেশ স্বচ্ছন্দ্য। কিন্তু ব্যতিক্রম রয়েছেন। এমন একজন অভিনেতা যাকে সবাই একডাকে চেনে, সেই তিনিই একবার চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করতে হিমসিম খেয়েছিলেন। অথচ এমন নয় যে তাঁকে অনস্ক্রিন এইধরনের দৃশ্যে দেখা যায়নি। একাধিক সিনেমায় মাখো মাখো মুহূর্ত সাবলীলভাবে পার করেছেন। তবে শুরুর দিকে একেবারেই এমনটা ছিলেন না। আর তাই ৩৭ বার রিটেক নিতে হয়েছিল স্রেফ নায়িকাকে চুমু খাওয়ার সময়।
কথা বলছি, কার্তিক আরিয়ান সম্পর্কে। ‘ভুলভুলাইয়া-২’ এর পর তাঁর নাম আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মহিলা ভক্তদের হার্টথ্রব সেই কার্তিক আরিয়ানের নাকি শুরুর দিকে চুমুতে ছিল প্রবল আপত্তি। একটি চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে অন্তত ৩৭ বার রিটেক দিতে হয়েছিল অভিনেতাকে। শুধু কি তাই, তার জন্য পরে বকাও খেতে হয়েছিল মা-ঠাকুমার কাছে। একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন কার্তিক নিজেই। সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘কাঞ্চি: দ্য আনব্রেকেবল’ ছবির শুটিংয়ে এমনটা ঘটেছিল। অভিনেত্রী মিষ্টির সঙ্গে একটি চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। তখন সবে সবে অভিনয়ে পা রেখেছেন কার্তিক। জড়তা কাটেনি পুরোপুরি। তাছাড়া বাড়ির লোক ব্যাপারটাকে কেমন ভাবে নেবেন, সেটা ভেবেও দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তাই সাত-পাঁচ ভেবে চুম্বন-দৃশ্যে সটান ‘না’ বলে দেন। তবে ছবির প্রয়োজনে শেষমেশ রাজি হতেই হয়েছিল অভিনেতাকে। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। কারন সেই সময় চুমু খাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় ছিলই না কার্তিকের। তার উপর যেসে চুমু নয়, একেবারে ঠোঁট ঠোঁট রেখে মত্ত হওয়া। তাতেই ল্যাজে-গোবরে হতে হয়েছিল কার্তিক এবং মিষ্টি দুজনকে। শেষ পর্যন্ত ৩৭ নম্বর শটে গিয়ে সবুজ সিগন্যাল দেন নির্দেশক। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কার্তিক। অবশ্য সেই ছবিতে কার্তিকের অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন অনেকেই।