কাজটি সহজ নয়। যা একান্তই সঙ্গোপনের কাজ, সেটিকেই করতে হয় অনেকের চোখের সামনে। ক্যামেরার সামনে। যদিও অভিনয়। তবু ফুটিয়ে তুলতে হয় সমস্ত বাস্তব অনুভূতি। হ্যাঁ, কথা বলছি ছবিতে অভিনেত্রীদের হস্তমৈথুনের দৃশ্য নিয়ে। শক্ত এই কাজটিই তাঁরা অনায়াসে করে ফেলেন। কেমন করে তা সম্ভব হয়? একবার এ ব্যাপারে নিজের প্রস্তুতির কথা শুনিয়েছিলেন অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানি।
নানা রকমের ছুঁতমার্গ কাটিয়ে এখন অনেকটাই সাবালক মূলস্রোতের সিনেমা। আগে যেখানে সঙ্গম দৃশ্য বা প্রেমের দৃশ্য প্রতীকী হিসেবে দেখানো হত, এখন তা অনেকটাই সহজ ও বাস্তবসম্মত করে দেখানো হয়। সে কাজ শুরু করেছেন পরিচালকরা। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকটি ছবিতে আর একটু সাহসী হয়ে মহিলাদের হস্তমৈথুন দৃশ্যও দেখানো হয়েছে। এই ঘটনা সামাজিক ভাবে নানারকম ইঙ্গিত বহন করে। তা নিয়ে তাই নানারকমের তর্কবিতর্কও চলে। স্বরা ভাস্কর থেকে কিয়ারা আদবানি, যাঁরা এইরকম দৃশ্যে অভিনয় করেছেন, তাঁরাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন। সমালোচনা যেমন হয়েছে, সাধারণ দর্শকের মধ্যে ব্যাপক ভাবে গ্রহণযোগ্যও হয়েছে এই দৃশ্য। সে কথা থাক। আপাতত আমরা এই দৃশ্যের জটিলতায় কথা আসি।
আরও শুনুন: শহিদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার স্মৃতি নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন প্রেমিকা ডিম্পল, শুনে আপ্লুত কিয়ারা
কাজটি যে সহজ নয় তা বলাই বাহুল্য। যৌন দৃশ্যে অভিনয় করা একটি অত্যন্ত কঠিন বিষয়। পরিচালকদের মুনশিয়ানায় এইসব ক্ষেত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সঠিক অভিনয় করে উঠতে পারেন। সম্প্রতি এই ব্যাপারে স্পেশাল নির্দেশককেও নিয়োগ করা হচ্ছে। যিনি দৃশ্যের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে। পুরো জিনিসটাকেই স্ক্রিপ্টেড করে দেন। ফলে অভিনেতারা জানেন, ঠিক কখন কী হতে চলেছে। কার হাত শরীরের কোন অংশে কীভাবে থাকবে, সে ব্যাপারে আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নেন। অনেকটা ডান্স মুভমেন্টের মতো। এতে কঠিন দৃশ্যও অভিনেতাদের কাছে সহজ হয়ে যায়।
আরও শুনুন: ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়েছেন সাত বার, পর্ন দেখা নিয়েও সাহসী Kubbra Sait
সেখানে হস্তমৈথুনের দৃশ্য আবার আর একটু কঠিন। যেহেতু এখানে একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকেই একক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হয়। ফলে, এই দৃশ্যে অভিনয়ের প্রস্তুতিও বেশ অন্যরকম হয়। যেমন, লাস্ট স্টোরি-তে অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তুতির জন্য রীতিমতো গুগল ঘাঁটতে হয়েছিল অভিনেত্রী কিয়ারা আদবানিকে। কেননা ব্যক্তিগত জীবনে ভাইব্রেটর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। সেক্ষেত্রে অভিনেত্রী ইন্টারনেট এবং অন্যান্য কিছু সিনেমার রেফারেন্স ব্যবহার করেছিলেন প্রস্তুতির জন্য। আর তাঁকে সাহায্য করেছিলেন পরিচালক করণ জোহর। ঠিক কীভাবে এক্সপ্রেশন দিলে দৃশ্যটি বাস্তবসম্মত হবে, চোখের অভিব্যক্তি কেমন হবে- সবটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক নিজে। সেই দৃশ্য ঝড় তুলেছিল নেট দুনিয়ায়।
এই প্রস্তুতির অংশই একটি কঠিন দৃশ্যকে সহজ করে তোলে। আমরা যা নিয়ে চর্চা করি, সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া, তার নেপথ্যের এই প্রস্তুতির অংশটা কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না।