তাঁর স্বামীকে চুরি করেছেন ঐশ্বর্য রাই। বিশ্বসুন্দরীর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন জাহ্নবী। না না, অভিনেত্রী নন, এক মডেল। অভি-অ্যাশের বিয়ের সময় এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বলিপাড়ায়। শুনে নেওয়া যাক সে গল্প।
ঐশ্বর্য রাই-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ জাহ্নবী কাপুরের। তাও কিনা স্বামী চুরির! এমনকি এই অভিযোগে সর্বসমক্ষেই হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন তিনি। না না, চমকে যাবেন না। বিশ্বসুন্দরী যখন বলিউডের শাহেনশা-পুত্রের গলায় মালা দিচ্ছেন, তখন জাহ্নবীর বয়স মাত্র বছর ১০। মানে বনি কাপুর ও শ্রীদেবীর কন্যা, অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের। কিন্তু এই জাহ্নবী তিনি নন। কথা হচ্ছে এক অনামী মডেল, জাহ্নবী কাপুরকে নিয়ে। এমনিতে খুব একটা পরিচিত না হলেও, সেই ২০০৭ সালে কিন্তু সব সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। অভিষেক আর ঐশ্বর্যর সেই হেভিওয়েট বিয়ের দিনে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল তাঁর এহেন দাবি।
আরও শুনুন: স্নান না করে প্রায় দু’সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন আমির খান, কিন্তু কেন?
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বচ্চন পরিবারের বিলাসবহুল বাংলো ‘প্রতীক্ষা’-য় বসেছিল অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিয়ের আসর। বিগ বি-র ছেলের বিয়ে বলে কথা! পাত্রীও কম যান না। একে বিশ্বসুন্দরী, তায় বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। ফলে এই বিয়ে ঘিরে সবার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বলিউডের নামীদামি তারকাদের উপস্থিতিতে আক্ষরিক অর্থেই চাঁদের হাট বসেছিল বিয়েবাড়িতে। আর তার সঙ্গেই মুখরোচক মশলার মতো জুড়ে গিয়েছিল বিতর্ক। ঐশ্বর্যর সঙ্গে সলমন খানের মাখো মাখো প্রেম, ‘ধুম টু’ সিনেমায় হৃতিক রোশনের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যের পর বিয়েতে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানো, এসব তো ছিলই। এদিকে অভিষেকের সঙ্গে এককালে যাঁর সম্পর্ক ছিল বলে গুজব শোনা যেত, সেই রানি মুখার্জি অমিতাভ আর অভিষেকের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করলেও এই বিয়েতে তাঁর নিমন্ত্রণ জোটেনি। আর এই পরিস্থিতিতেই বিতর্ক উসকে দিয়েছিল জাহ্নবী কাপুর নামে ওই মডেলের আকস্মিক আবির্ভাব।
আরও শুনুন: ‘বন্ধু’ হওয়ার টোপ দিয়ে যৌনতার হাতছানি, বলিউডের কাস্টিং কাউচ নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী
ঠিক বিয়ের দিনেই ‘প্রতীক্ষা’-র সামনে হাজির হয়েছিলেন ওই মডেল। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিষেক অভিনীত একটি সিনেমায় তিনি ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসাবে কাজ করেছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়। দুবছর ধরে তাঁদের প্রেমপর্ব চলছিল বলেও জানান জাহ্নবী। এমনকি তিনি এও দাবি করেছিলেন যে অভিষেক তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন। আর সেই দাবির ভিত্তিতেই তিনি অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর স্বামীকে কার্যত চুরি করেছেন ঐশ্বর্য রাই। এর পর সাংবাদিকদের সামনে হাত কেটে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন জাহ্নবী। জুহু থানায় অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জনসমক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করার জন্য উলটে তাঁকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিষেকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনলেও কোনও উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি ওই মডেল। এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি বচ্চন পরিবার। এদিকে বলিউড জুড়ে সম্পর্কের ভাঙাগড়ার মধ্যেও ১৫ বছর ধরে ক্রিজে টিকে গিয়েছে অভি-অ্যাশ জুটিও।