দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে। বলিউডের আইকনিক এই সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে গিয়েছে মারাঠা মন্দির সিনেমা হলের নাম। টানা এতদিন ধরে একটা হলে একটিই ছবির প্রদর্শনের নজির বিরল। সেই মারাঠা মন্দিরেই ডিডিএলজে-র প্রদর্শন বন্ধ হয়েও, আবার ফেরার পিছনে নাকি ভূমিকা ছিল যৌনকর্মীদেরও। কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে। এখনকার জেনারেশন এই মন্ত্রে কতটা বিশ্বাস করে কে জানে! কিন্তু নব্বইয়ের মাঝামাঝি এই এক কথাতেই কেঁপে উঠেছিল আসমুদ্র হিমাচল। একখানা রোম্যান্টিক সিনেমা মাত্র নয়, নয়া প্রজন্মের রোমান্সের ম্যানুয়াল হয়ে উঠেছিল শাহরুখ-কাজলের এই সিনেমা। খুব কম অভিনেতাই নিজেদের সৃষ্টিকে এমন মিথের পর্যায়ে পৌঁছে যেতে দেখেন। শাহরুখ-কাজলও দেখছেন, কীভাবে ডিডিএলজে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়। সিনেমার দৃশ্য নির্মাণেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থেকে যায় এই সিনেমার। সিনে-সিলেবাসে প্রায় অবশ্যপাঠ্য হয়েই ঢুকে পড়েছে এই ছবি। তার মেজাজ, মর্জি, রোমান্স, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি বিশ্বাস আর প্যান ইন্ডিয়ান প্রচ্ছদের দৌলতে।
আরও শুনুন: শুটিংয়ে অন্তর্বাসের ভিতর ঢোকানো হবে হাত… প্রযোজকের কথা শুনে কেঁদেই ফেলেছিলেন উরফি
আরও একটি নজির ছুঁয়েছে এই ছবি। মারাঠা মন্দিরে টানা চলেছে এই সিনেমা, কোনও একটা সিনেমার একটাই সিনেমাহলে টানা এতদিন চলার নজির আর ভূভারতে নেই। সেই মারাঠা মন্দিরেই যখন একবার সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ হয়েছিল, তখন তা ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন যৌনকর্মীরা। এই তথ্যটি গুরুত্ব পেয়েছে একটি ছোট ছবির দৌলতে। লেখক, পরিচালক পঙ্কজ দুবে ডিডিএলজে-কে মনে রেখেই একটি ছবি বানিয়েছেন, নাম ‘মারাঠা মন্দির সিনেমা’। যে সিনেমার গল্পের পরতে পরতে মিশে আছে ডিডিএলজে। তবে তা অন্য মাত্রা পায়, যখন দেখা যায়, এই একটা সিনেমা কীভাবে যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ঘটনা কাল্পনিক মাত্র নয়। সত্যিই। ছবির শেষে জানানো হয়েছে, মারাঠা মন্দিরে যখন সাময়িক ভাবে ডিডিএলজে-র প্রদর্শন বন্ধ হয়, তখন তা ফেরানোর জন্য দাবি জানিয়েছিলেন যৌনকর্মীরাই। এই ছোট সিনেমায় সে গল্পই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মারাঠা মন্দির সিনেমা হলের কাছেই কামাথিপুরা যৌনপল্লি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লি এটা। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে রাজ-সিমরন হল আশার প্রতীক। সকলেই নিজের মতো করে রাজকে খুঁজতে চায়। হয়তো কেউ পায়। বেশিরভাগই রাজের দেখা পায় না।
আরও শুনুন: মহাকাশে পর্ন ছবির শুটিং করবেন এই অভিনেত্রী, জানেন আগে কোন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি?
কিন্তু এই পাওয়া না-পাওয়ার মাঝের শূন্যতা পূরণ করে থেকে গিয়েছে ঘণ্টা কয়েকের রুপোলি পর্দায় জ্যান্ত হয়ে ওঠা কাহিনি। ওর ভিতরে তাঁরা মুক্তি খোঁজেন। ওর ভিতরেই দৈনন্দিন হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খোঁজেন তাঁরা। মারাঠা মন্দির সিনেমায় যেমন দেখা যায় এক যুবতীকে। যৌনপল্লিতেই যার বেড়ে ওঠা। যিনি তাকে বড় করেছেন, সেই যৌনকর্মীও এককালে ডিডিএল-জে দেখতেন। মুক্তি খুঁজতেন। কিন্তু এই ফাঁদ থেকে বেরোতে পারেননি। আর তাই তিনি চাইতেন, এই যুবতী যেন একই ভাবে আটকে না পড়ে।
বাকি অংশ শুনে নিন।