অবশেষে রেহাই। জামিন পেলেন পরিমণী। মঙ্গলবারই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। যদিও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি হতে সময় লেগেছে বলে, সেদিনই জেল থেকে মুক্তি পাননি অভিনেত্রী। বুধবার সকালে তিনি বেরিয়ে আসেন জেল থেকে। আর তাঁকে একটিবার চোখের দেখা দেখার জন্য অনুরাগীদের ঢল নামল কারাগারের সামনে।
তিনি সেনসেশন। মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে জেলে যেতে হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তাতে পরীমণির জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র টাল খায়নি। গত ২৬ দিনে তাঁকে নিয়ে দেশে বিদেশে অজস্র সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, পরীমণি কেবল একজন অভিনেত্রী হয়ে আটকে নেই। বরং তিনি একটা ঘটনা হয়ে উঠেছেন।
তাঁর গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। খ্যাতনামা সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনও এ ব্যাপারে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী বিচারাধীন অবস্থায় তাঁর উপর মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন।
আরও শুনুন: বিকিনি পরে অবসর যাপনে Priyanka Chopra, চোখ ফেরাতে পারছেন না অনুরাগীরা
হ্যাঁ, আমরা বলছি পরীমণির কথা।
বুধবার জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি। আর সেই খবর শুনেই তাঁকে দেখতে অনুরাগীদের ঢল নেমেছিল কারাগারের সামনে। মঙ্গলবারই জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু জরুরি কয়েকটি কাগজ তৈরি করতে সময় লেগেছিল বলে, সেদিন তাঁর মুক্তি হয়নি। অনুরাগীরা জানতেন, বুধবারই বেরিয়ে আসবেন পরীমণি। সকালের আলো ফুটতেই তাই দেখা যায় অনুরাগীদের ভিড়। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, পরীমণিকে এতদিন শুধু ছবিতেই দেখা গিয়েছে। আর, খবরের দৌলতে তাঁর কথা শুনেছেন মাত্র। কিন্তু সামনাসামনি চোখের দেখা তো হয়নি। এই সুযোগে সেই সাধ মিটবে। তাই গাজীপুর থেকে, সিরাজগঞ্জ থেকে তাঁর অনুরাগীরা ছুটে এসেছেন।
আরও শুনুন: ক্যামেরার সামনে হস্তমৈথুন, কীভাবে প্রস্তুতি নেন অভিনেত্রীরা?
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে থেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠা কম কথা নয়। পরীমণির জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে দিয়েছিল, সাধারণ মানুষ তাঁকে কতটা ভালোবাসেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর, তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে বলেও অনেকে সরব হয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দিন তাঁকে দেখতে যেভাবে সকলে ভিড় জমালেন, তাতে পরীমণির সেই জনপ্রিয়তার ছবিটিই নতুন করে স্পষ্ট হয়।
জানা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে নটা নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন পরীমণি। সামনে অসংখ্য অনুরাগী দেখে নায়িকার মুখে ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি। পরনের সাদা পোশাক যেন বার্তা দিচ্ছিল তিনি কলঙ্কমুক্ত। এ ছাড়া আরও একটি বার্তা দেন তিনি। ভক্তদের উদ্দেশে যখন তিনি হাত নাড়াচ্ছেন, তখন দেখা যায়, তাঁর হাতের তালুতে লেখা ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। এই কথাটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তদের উদ্দেশে যে এ কথা তিনি বলছেন না তা স্পষ্ট। তবে কি তিনি জানতেন চিত্রসাংবাদিকদের সৌজন্যে যার উদ্দেশে এ কথা বলা তার কাছে ঠিক পৌঁছে যাবে! হয়তো তাই। হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া কোনও চক্রান্তের বা তাঁর এই হেনস্তার জন্য কোনও বিশেষ ব্যক্তিকে দায়ী করেই তিনি এই বার্তা দিচ্ছেন। সে কথা স্পষ্ট না হলেও, একটা কথা আজ আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। ২৬ দিনের কারাবাস পরীমণির জনপ্রিয়তায় এতটুকু আঁচড় ফেলতে পারেনি। পরীমণি আছেন ভক্তদের চোখের মণি হয়েই।