একই সিনেমায় ৩০০ পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে যৌনতা করে রেকর্ড গড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। পর্ন তারকা হিসেবে পেয়েছেন হল অফ ফেম-এর স্বীকৃতিও। তিনিই এবার দাবি করলেন, পর্ন তারকাদের দিন শেষ। কেন এমন কথা বললেন ওই পর্নস্টার? শুনে নেওয়া যাক।
পর্ন তারকাদের জমানা শেষ হয়ে গেছে। এমন চমকে দেওয়ার মতো দাবি করলেন এক পর্ন অভিনেত্রীই। ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভঙ্গিতে যৌনতা করার রেকর্ড তাঁরই দখলে। অথচ সেই অভিনেত্রীকেই এমন ঘোষণা করতে শুনে অবাক সকলেই। জনপ্রিয় পর্ন তারকা জেসমিন সেন্ট ক্লেয়ার সাফ জানাচ্ছেন, পর্ন তারকাদের সেই গ্ল্যামার আর অবশিষ্ট নেই। আর এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
আরও শুনুন: ‘কৃপাণ’ রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার শিখ পড়ুয়া, ক্ষোভ প্রকাশ নেটিজেনদের
অভিনেত্রীর মতে, এক সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। যেহেতু সেসময়ে হাত বাড়ালেই কাউকে ছোঁয়া যেত না, সেই কারণেই তাঁদের ঘিরে অদ্ভুত উন্মাদনা তৈরি হত অনুরাগীদের। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে কোনও তারকারই অনেকখানি কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া সম্ভব, তা ভারচুয়ালি হলেও। কোনও তারকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে খুব সহজেই তাঁর দৈনন্দিন জীবনের ছবি কিংবা কাজকর্মের খোঁজ পাওয়া যায়। আর তার জেরেই তারকাদের ঘিরে থাকা মোহের জাল আর অবশিষ্ট থাকে না, এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী। আর সেই কারণেই তাঁর মত, এখনকার প্রাপ্তবয়স্ক ছবির দুনিয়ায় পারফর্মাররা আছেন বটে, তবে ‘স্টার’ বলে কেউ আর নেই। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে, কিংবা ২০০০ সালের গোড়াতেই তারকাদের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এককালের ওই খ্যাতনামা পর্ন তারকা।
আরও শুনুন: মথুরার ৪০০ বছরের পুরনো মন্দিরে প্রথম মহিলা পুরোহিত, বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ পরিবার
১৯৯৬ সালের এক সিনেমার সূত্রেই বিপুল খ্যাতির মুখ দেখেছিলেন তিনি। ওই সিনেমায় ৩০০ জন পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে যৌনতা করে রেকর্ড গড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। যদিও পরবর্তী কালে তিনি নিজেই ফাঁস করে দেন যে ওই ঘটনা ছিল পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এযাবৎ কালে ঘটা সবচেয়ে বড় ফাঁকি। মাত্র ৩০ জনকে ব্যবহার করেই নাকি যান্ত্রিক কৌশলে সেখানে ৩০০ জনকে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ওই সিনেমার দৌলতে পর্ন দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি চেনা মুখগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছিলেন এই অভিনেত্রী। আর সেই তারকাই এবার এহেন দাবি করে চমকে দিলেন সকলকে।