সিরিয়াস অভিনেতা বলেই পরিচিত রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়পর্দা ছাড়াও টেলিভিশনের একাধিক ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি কলমও কথা বলে তাঁর হাতে। কিন্তু এহেন জনপ্রিয়তার দৌলতেই আবার নিজের মতো করে পুজো কাটানোর সুযোগ মেলে না রাহুলের। আগে কেমনভাবে কাটত তাঁর পুজো, সেই নস্ট্যালজিয়া ভাগ করে নিলেন সংবাদ প্রতিদিন শোনো-র সঙ্গে। শুনলেন চৈতালী বক্সী।
পুজো বলতে সবার আগে কোন কথা মনে আসে রাহুলের? জবাব মেলে তিন শব্দে। আড্ডা, ছুটি, বন্ধু। তাঁর ছোটবেলায় রেস্তোরাঁ জিনিসটাই সহজলভ্য ছিল না। বিরিয়ানি মিলত হাতেগোনা কয়েকটা দোকানে। তাই ছোটবেলায় পুজোর দিনে বাইরে খেতে যাওয়ার আনন্দ এখনও মনে পড়ে অভিনেতার। বিরিয়ানি খাওয়া, ক্যাপ বন্দুক ফাটানো, মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে পুজো দেখতে বেরনো, ছোটবেলায় পুজোর আনন্দ ছিল এতেই। একদিন মেট্রো করে যাওয়া হত উত্তর কলকাতার ঠাকুর দেখতে, আর একদিন একটা অটো ভাড়া করে দক্ষিণে। একডালিয়া এভারগ্রিন আর পার্ক সার্কাস, এই দুটো পুজো দেখা হতই। তার কারণ, এই দুই পুজোয় প্রতিমা বানাতেন রমেশ পাল। থিমের পুজোয় সেই মূর্তির মায়া খুঁজে পান না রাহুল।
আরও শুনুন: Durga Puja 2021: ছোটবেলার পুজো মানেই নাগরদোলা চড়া, নস্ট্যালজিয়ায় ডুব দিলেন সন্দীপ্তা
সারাবছর আলো আর শব্দের মধ্যে কাজ করার পর পুজোর দিনে কোনও শান্ত জায়গায় ঘুরতে যাওয়াই এখন পছন্দ জনপ্রিয় অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের।