সৎ বাবার পদবি ধার করে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বলিউড তারকা দিয়া মির্জা। কেন জানেন? আসুন, শুনে নেওয়া যাক সেই গল্পই।
বাবা বা মায়ের দ্বিতীয় বিবাহ সন্তানরা মেনে নিতে পারেন না অনেক সময়েই। উল্টোটাও ঘটে। প্রত্যাখ্যান আসে নতুন বাবা বা মায়ের তরফ থেকেও। তবে সৎ বাবা বা মা মানেই যে দুর্ধর্ষ দুশমন, তা কিন্তু না-ও হতে পারে। অন্তত অভিনেত্রী দিয়া মির্জার ক্ষেত্রে তো তা নয় বটেই।
আরও শুনুন: যাত্রাপথেই দুভাগ হয়ে গেল ট্রেন, অজানা গন্তব্যে পৌঁছলেন যাত্রী
বর্তমানে বলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই স্বচ্ছন্দে এ ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখেন। শুধু বজায়ই রাখেন তা নয়, বিভিন্ন উৎসব পার্বণ একে অপরের সঙ্গে উদযাপনও করেন দারুণ ভাবে। সারা আলি খান থেকে অর্জুন কপূর, অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এই ব্যপারটা। দিয়া মির্জাও ব্যতিক্রম নন।
দিয়ার জন্ম হায়দরাবাদে। বাবা জার্মান বংশোদ্ভূত ফ্র্যাঙ্ক হেন্ডরিক। মা দীপা মির্জা বাঙালি। দীপা পরে বিয়ে করেন আহমেদ মির্জাকে। আহমেদের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দিয়ার। বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হলেও আহমেদ ছিলেন দিয়ার বাবার চেয়েও বেশি। জীবনের অনেক গুরুতর শিক্ষাই তিনি পেয়েছেন আহমেদের কাছ থেকে। মাত্র ন বছর বয়সে ফ্র্যাঙ্ককে হারান দিয়া। তার পর থেকে যাবতীয় আবদার, প্রয়োজন সবটাই মিটিয়েছেন আহমেদ। দিয়ার কথায়, আহমেদ তাঁর কাছে ছিলেন একটা নিরাপত্তার কম্বলের মতো। যা সবসময় ঘিরে রেখেছে অভিনেত্রীকে।
আরও শুনুন: হেলমেট ছাড়াই বাইক চালিয়ে ধৃত ব্যক্তি, মন্ত্র পড়ে ‘পুজো’ করলেন পুলিশকর্মী
মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস এশিয়া প্যাসিফিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দিয়া। আর সেই প্রতিযোগিতাতেই আহমেদের পদবি ব্যবহার করেছিলেন দিয়া। সেই প্রতিযোগিতায় শিরোপাও জেতেন তিনি। এর পরে ফেমিনার একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। সেখানেও প্রথম হন দিয়া। এর পর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক বলিউড ছবিতে সুযোগ পান তিনি। তার মধ্যে ‘ব়হনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবিটি বিরাট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ২৩ বছর বয়সে আহমেদকে হারান দিয়া। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলার কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, এক জীবনে দুবার বাবাকে হারানোটা সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। তবে তাঁর সৎ বাবার শিক্ষা ও সাহচর্যও তাঁকে এতদূর এগোতে সাহায্য করেছে বলে মেনেছেন বলিউড এই তারকা।