মজা করে কাউকে ডেকে উঠছেন ‘হে বিড়ু’ বলে? তার জন্যই কিন্তু এবার আদালতের সমন পেতে পারেন। হ্যাঁ, অনুমতি ছাড়া বলা যাবে না ‘বিড়ু’, এই নির্দেশ চেয়েই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন জ্যাকি শ্রফ।
রুপোলি পর্দায় এক-একটি সংলাপ বা এক-একটি শব্দ, এক-একজন তারকার সঙ্গে যেন সমার্থক হয়ে যায়। আর সেই সংলাপকেই পরে নিজের করে নিই আমরা, সাধারণ দর্শকেরাও। কথায় বার্তায় সেইসব ডায়লগ বলি একই সুরে। কিংবা আজকাল যখন হামেশাই মিম বানানোর চল, সেখানেও নানারকম পরিস্থিতিতে বসিয়ে দেওয়া হয় সেইসব আইকনিক কথা। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, এই প্রবণতাটিতেই বিরক্ত হচ্ছেন অনেক তারকা। এর সুরাহা চেয়ে এবার সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হলেন জ্যাকি শ্রফ।
আরও শুনুন:
কোনও পোশাকই পছন্দ নয় পরিচালকের, শেষমেশ জ্যাকির গেঞ্জি পরেই শুটিং উর্মিলার
কাউকে ‘বিড়ু’ বলে ডাকা জ্যাকির সিগনেচার হয়ে উঠেছিল একসময়। এই ডাক এতই জনপ্রিয়তা কুড়োয় যে এখনও অনেকেই সেই শব্দটি ব্যবহার করে বসেন। নানারকম টিভি শো-তেও জ্যাকিকে নকল করেন যাঁরা, এ শব্দটি বলেই তাঁরা তারকাকে চিনিয়ে দেন। কিন্তু সেই পথেই এবার কাঁটা দিতে চাইছেন জ্যাকি। আইনি সুরক্ষা চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি। কী বিষয়ে সুরক্ষা? আসলে পারসোনালিটি ও পাবলিসিটি রাইটসের বিষয়েই সুরক্ষা চেয়েছেন অভিনেতা। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই শব্দটি তাঁর ডাকনামের মতো, তাঁর সঙ্গেই জড়িয়ে। সুতরাং তাঁর অনুমতি ছাড়া যে কেউ যে কোনোভাবে এ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না। শুধু তাই নয়, নিজের নাম, ছবি ও গলার স্বর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একইভাবে রক্ষাকবচ চেয়েছেন জ্যাকি শ্রফ।
এর আগে একইভাবে আইনি পদক্ষেপ করেছিলেন আরও এক বলি তারকা অনিল কাপুর। তাঁরও সিগনেচার শব্দ ‘ঝাকাস’। সেই শব্দ যাতে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা না যায়, আইনি পথেই তার ব্যবস্থা পাকা করেছেন তিনি। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন জ্যাকি শ্রফও। যদিও নেটিজেনদের একাংশের মতে, মুম্বইয়ের রাস্তায় কান পাতলেই ‘বিড়ু’ ডাক শোনা যায়। খামোখা জ্যাকি একা তার কৃতিত্ব দাবি করেন কেমন করে! হ্যাঁ, ছবি বা কণ্ঠস্বর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা অনুচিত এ কথা ঠিক, তবে কারও নকল করা কি আটকানো চলে!
আরও শুনুন:
তাঁর জন্য প্রেমের সিনেমা চলে না, তাহলে? খোলসা করলেন খোদ শাহরুখ
আসলে, ব্যবসায়িকভাবে যাতে এগুলি ব্যবহার না করা যায়, সেটিই নিশ্চিত করতে চাইছেন এই তারকারা। তবে অনিল কাপুরের মতো জ্যাকি শ্রফও এ শব্দে নিজের একচেটিয়া অধিকার কায়েম করতে পারবেন কি না, সে কথা তো আদালতই বলবে।