খোদ সত্যজিৎ রায় কি পারিশ্রমিক দিতে কুণ্ঠিত ছিলেন? সম্প্রতি এমনই এক অভিযোগের সুরে সরগরম নেটদুনিয়া। সেই আবহেই শোনা গেল তাঁর একাধিক ছবির নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরের কথা। সত্যজিতের পরিচালনায় প্রথমবার কাজ করে কী পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির কন্যা? শুনে নেওয়া যাক।
কাজ করলে পারিশ্রমিক বরাদ্দ, এ তো সোজা হিসেব। কিন্তু পরিস্থিতির সাপেক্ষে সেই সমীকরণও পালটায় বইকি। পারিশ্রমিকের রকমফেরও হয়। সবকিছুকে হয়তো অর্থমূল্যে যাচাই করা চলে না, কিংবা তা করতে চান না কেউ কেউ। সম্প্রতি পারিশ্রমিক দেওয়া প্রসঙ্গে খোদ সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে বিতর্ক ওঠাতেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই দিকগুলি। আর সেই আবহেই সামনে এল তাঁর একাধিক ছবির নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরের কথা। সত্যজিতের পরিচালনায় প্রথমবার কাজ করে কী পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন অভিনেত্রী, সে কথাই জানিয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন:
সত্যজিতের ছবিতে গান গেয়েছিলেন, তবে পারিশ্রমিক ছিল না খোদ কিশোর কুমারের
এমনিতে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন তাবড় তারকারা। এমনকি এও শোনা যায় যে, বাংলা ও হিন্দি গানের জনপ্রিয় শিল্পী হয়ে ওঠার পরেও তাঁর ছবিতে কাজ করে পারিশ্রমিক নিতে চাননি কিশোর কুমার। তবে শর্মিলা কিন্তু পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। সত্যজিতের ‘অপুর সংসার’ ছবিতে অভিনয় দিয়েই তাঁর সিনে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। আর সেই কাজের জন্য কী পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি, সে কথাই খোলসা করেছেন অভিনেত্রী।
আরও শুনুন:
খোলা পিঠই বাংলা সংস্কৃতির ‘পীঠস্থান’! তবে বানান ভুল শুধরোবে কে?
শর্মিলা জানিয়েছেন, এই কাজের পর পরিচালকের কাছ থেকে একটি শাড়ি এবং ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া মিলেছিল আর্থিক পারিশ্রমিকও। অভিনয়ের জন্য তাঁকে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। শর্মিলা মনে করেন, এখনকার তুলনায় সেই টাকার পরিমাণ হয়তো কম বলে মনে হবে। কিন্তু এ কথাও মাথায় রাখতে হবে যে সেই সময় জিনিসপত্রের দামও এখনকার তুলনায় অনেক কম ছিল। তৎকালীন বাজারদরে ওই টাকা দিয়েই হাতের বালা, নেকলেস আর কানের দুল কিনে ফেলেছিলেন ঠাকুরবাড়ির কন্যা। টাকার পরিমাণ যাই হোক না কেন, জীবনের প্রথম কাজ, উপরন্তু সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা যে চিরদিনের মতোই স্মরণীয় হয়ে আছে তাঁর কাছে, এ কথা বুঝিয়েই দিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর।