পর্দায় তাঁরা যতই নিখুঁত হোন না কেন, বাস্তবিক জীবনে কি ততটাই খুঁতহীন তারকারা? মোটেই নয়। বরং বাস্তব জীবনে নানাবিধ অদ্ভুত অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। আর সেসবের জন্য বেশ বেশ অদ্ভুত অদ্ভুত কাজও করেন তাঁরা। বলিউডের কোন কোন তারকার রয়েছে তেমন অদ্ভুত সব অভ্যাস? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সেভাবে দেখতে গেলে, নিখুঁত কেউ-ই নন। পর্দায় একেকটা চরিত্রকে নিখুঁত করে তোলা হয় সৃষ্টিশীলতা দিয়ে। তবে সেই চরিত্রের নেপথ্যের মানুষটার সঙ্গে চরিত্রদের গুলিয়ে ফেললে কিন্তু ভুল হবে। কারণ বাস্তবজীবনে তারকারা এমন অনেক কিছুই করে থাকেন, যা শুনলে অবাকই হবেন।
যেমন ধরুন, বলিউড তারকা সইফ আলি খান। একদিকে তাঁর শরীরে বইছে মনসুর আলি খানের নবাবী রক্ত, অন্যদিকে খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জিন, ফলে তিনি যে একটু অন্যরকম হবেনই তা আর আশ্চর্য কী? অনেকেই জানেন না, সইফ আলির বিস্তর বই পড়ার নেশা। অবসর পেলেই তাই বইয়ে মুখ গোঁজেন ছোটে নবাব। এমনই সেই নেশা যে বাথরুমের ভিতরেই তৈরি করে ফেলেছেন ছোটখাট একটা লাইব্রেরি। ভাবতে পারেন?
আরও শুনুন: ‘ভিলেন’-এর চরিত্রে পর্দা কাঁপিয়েছেন এই বলিউড ‘হিরো’-রা, পিছিয়ে নেই নায়িকারাও
তারপর ধরা যাক শাহরুখের কথাই। তা বলিউড কিং খান নাকি আবার জুতো নিয়ে নিদারুণ স্পর্শকাতর। পা থেকে জুতো নাকি একেবারেই খুলতে নারাজ তিনি। এমনকী রাতেও নাকি জুতো পরে ঘুমোন শাহরুখ খান। আরও একটা বিষয়ে বিস্তর ট্যাবু রয়েছে তাঁর। খাওয়ার সময় ছবি তুলতে একেবারেই পছন্দ করেন না কিং খান। পারতপক্ষে তেমন পরিস্থিতি এড়িয়ে যান তিনি।
সানি লিওনির আবার রয়েছে পরিষ্কারের বাতিক। ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর নিজের পায়ের পাতা পরিষ্কার করতে থাকেন, এমনই বাতিক তাঁর। তাঁর এই অদ্ভুত অভ্যাসের জন্য ‘জিসম টু’ ছবির শুটিংয়ে নাকি বিস্তর দেরি হয়েছিল। সানির যেখানে প্রবল পরিষ্কারের বাতিক, আমির খান সেখানে আবার বাইনারি উল্টো। স্নান করতে নাকি একেবারেই পছন্দ করেন না বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। অল্পবিস্তর পরিষ্কারের বাতিক রয়েছে আয়ুষ্মান খুরানারও। তবে দাঁত। দাঁত মাজতে নাকি দারুণ ভালবাসেন অভিনেতা। সাধারণ লোকে যেখানে এক থেকে দুবার দাঁত ব্রাশ করেন, সেখানে তিনি ব্যতিক্রম। দিনে বেশ কয়েকবার দাঁত মাজতে না পারলে যেন শান্তি পান না আয়ুষ্মান।
আরও শুনুন: স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর উপার্জনই বেশি, বলিউডের বেতন বৈষম্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন এই তারকা দম্পতিরা
এবার আসা যাক শহিদ কাপুরের বদ অভ্যাসের কথায়। তাঁর নাকি আবার ভয়ঙ্কর কফির নেশা। দিনে দশ-বারো কাপ তাঁর জন্য কোনও ব্যাপারই নয়। বিশেষত শুটিং করার সময় এই ব্যাপারটি আরও বেড়ে যায় অভিনেতার। অনেকেই জানেন, সলমন খানের রয়েছে সাবান সংগ্রহের অভ্যাস। কুণাল কাপুরের আবার খাওয়ার পাতে একটা বদ অভ্যাস রয়েছে। রোজ দুবেলা খাওয়ার পরে কিছুটা করে খাবার ফেলে দেন অভিনেতা। কেন এ কাজ করেন, তার অবশ্য ব্যাখ্যা নেই। জন আব্রাহামের নাকি রয়েছে পা নাচানোর অভ্যাস। অভিনেতা ববি দেওয়ালের রয়েছে অদ্ভুত একটি অভ্যাস। কথা বলা বা সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হাতের পাশে একটা ছোট্ট কাঠের ব্লক নিয়ে বসেন তিনি। মাঝেমাঝেই সেটাতে হাতও রাখেন। এতে নাকি তাঁর মনঃসংযোগ করতে সুবিধা হয়। অমিতাভ বচ্চনের রয়েছে মজার একটা অভ্যাস। অভিষেক ও ঐশ্বর্য যখনই দেশের বাইরে যান, বিগ বি নাকি সবসময় হাতে দুটো ঘড়ি পরেন। একটিতে দেখা যায় ভারতীয় সময়, অন্য়টিতে সেই জায়গার টাইমজোন, যেখানে রয়েছেন অভিষেকরা। আসলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে সব বাবামায়েরই কম বেশি দুশ্চিন্তা হয়। তারকা হলে কী হবে, বাড়িতে, পরিবারের কাছে যে তাঁরা এক্কেবারে আম আদমী, সে কথাই মনে করিয়ে দেয় তাঁদের এসব অদ্ভুতুরে অভ্যাসগুলি।