ধর্মেন্দ্র। নামটুকু উচ্চারণই যথেষ্ট। ভারতীয় সিনেপ্রেমীরা জানেন এই নাম আসলে সিনেমার এক ইতিহাস। তিনি জীবন্ত কিংবদন্তি। সেই তিনিই কিনা আচরণ করছেন একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতার মতো! বিস্ময়ে খোদ অভিনেতাকেই প্রশ্ন করেছিলেন এক ভক্ত। জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেতা যা বললেন, তাতে অভিভূত সকলেই। কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
হিন্দি সিনেজগতে সুপুরুষ রোম্যান্টিক নায়ক বললে তাঁর চেহারাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। রোম্যান্টিক নায়ক সিনেজগতে অনেকেই, তবে সকলেই ধর্মেন্দ্র হয়ে উঠতে পারেন। আর তাই দশকের পর দশক, দর্শক নির্দ্বিধায় তাঁর উদ্দেশেই বলে উঠেছেন ‘ইয়ে দিল তুম বিন কঁহি লাগতা নেহি, হাম ক্যায়া করে’! অবশ্য শুধু রোমান্সের ঘেরাটোপেই বা তাঁকে আটকে রাখা যায় কী করে! হাতের সামনেই যখন থাকে ‘শোলে’-র মতো উদাহরণ। আসলে ধর্মেন্দ্র মানেই হিন্দি সিনেমার আলাদা একটা অধ্যায়। প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছেও আজও নিজের মধ্যে বজায় রেখেছেন অভিনয়ের খিদে। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁকে দেখা যাবে সুফি-সাধক সেলিম চিস্তির ভূমিকায়। নেটদুনিয়ায় সে-কথা জানিয়ে ভক্তদের শুভেচ্ছাও প্রার্থনা করেছেন প্রবীণ অভিনেতা।
আরও শুনুন: যশ চোপড়ার ছেলে হয়েও উদয়ের কেরিয়ারের এমন হাল কেন? উত্তর দিলেন আদিত্য
আর তা দেখেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন তাঁরই এক ফ্যান। ধর্মেন্দ্রর মতো কিংবদন্তি এখনও কেন স্ট্রাগলিং অ্যাক্টরের মতো আচরণ করছেন? আসলে ধর্মেন্দ্র যেভাবে নিজের অভিনয়ের খবর জানিয়েছিলেন, তাই-ই অবাক করেছিল ওই নেটিজেনকে। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছি, সকলে শুভেচ্ছা জানাবেন। এ যেন কোনও কিংবদন্তি অভিনেতার কথা নয়, যেন কোনও উঠতি অভিনেতা বা সদ্য স্টারডম পাওয়া কোনও অভিনেতার কথা। এমনটাই মনে হয়েছিল ওই ফ্যানের। ধর্মেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফ্যানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। এক্ষেত্রেও এই প্রশ্ন চোখে পড়েছে তাঁর। উত্তরে তিনি বলেছেন, জীবনটাই তো চমৎকার এক সংগ্রাম। আমি-আপনি সকলেই সেই সংগ্রামে শামিল। বিশ্রাম মানে আসলে স্বপ্নে ইতি টানা, সুন্দর এই যাত্রাপথের সমাপ্তিতে পৌঁছে যাওয়া। অর্থাৎ যে উচ্চতাতেই তিনি পৌঁছন না কেন, জীবনের এই সংগ্রামকেই যে তিনি পছন্দ করেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। আর এই উত্তরেই বাজিমাত। যাঁরা নেটদুনিয়ায় এই প্রশ্ন-উত্তরে চোখ রেখেছিলেন, তাঁরা বলছেন, একজন সফল মানুষের এই জীবন-দর্শন সত্যিই শিক্ষণীয়। সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেও যে নিজের ভিতর নতুন লড়াইয়ের আগুন জাগিয়ে রাখতে হয়, ধর্মেন্দ্র এই জবাবে সেই চিরকালীন সত্যটিকেই যেন আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন।