ক্যামেরার সামনে উদ্দাম যৌনতা। শরীরী লাস্যে দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখা। এইসবই যেন পর্নতারকাদের কাছে জলভাত। পেশাগত স্বার্থে প্রতিদিন এই কাজ করতে হয় তাঁদের। কিন্তু বাস্তবে সেই কাজ করতে কী আদৌ ভালো লাগে? নাকি ক্যামেরার আড়ালে অন্ধকার জগতেই দিন কাটাতে হয় তাঁদের?সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করেছেন এক জনপ্রিয় পর্নতারকা। কী বলছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
নীলছবির দুনিয়া। তা বাইরে থেকে যতই রঙিন মনে হোক, ভেতর থেকে ঠিক ততটাই অন্ধকার। অন্তত জনপ্রিয় এক পর্নতারকার দাবি তেমনই। দীর্ঘদিন পর্নজগতে কাজ করার পর তাঁর অভিজ্ঞতা নাকি একেবারেই মধুর নয়। বরং ক্যামেরার সামনে সঙ্গমকে অধিক যন্ত্রণার বলেই দাবি করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: যৌন অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক, পর্দার সঙ্গম কি ভাল লাগে অভিনেত্রীদেরও? জানালেন পর্ন তারকা
যদিও আক্ষরিক অর্থে এই কথা তিনি বলেননি। তাঁর বক্তব্য এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষগুলোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। বাস্তবে কারও কাছেই এঁরা সম্মান পান না। পেশাগত স্বার্থে তাঁদের এমন অনেক কাজ করতে হয়, যা দেখার পর কেউই তাঁদের বাস্তবের দুনিয়ায় মেনে নিতে পারেন না। তাঁরা যেন স্রেফ রাতের সঙ্গী। তাঁদের শরীরী লাস্যটুকুই যেন একমাত্র সত্যি। এর বাইরে কোনও অস্তিত্ব বা পরিচয় তাঁদের নেই। আবার নীলছবির শুটিং করাটাও বেশ পরিশ্রমের বলেই দাবি করেছেন এই মহিলা। তাঁর মতে, অনেকেই এমনটা ভেবে থাকেন পর্নতারকারা সবসময় যৌনতা করছেন, তার মানে তাঁরা কতই না আনন্দে আছে। কিন্তু বাস্তবে তা এক বিন্দুও সত্যি নয়। ক্যামেরার সামনে যৌনতা আর যাই হোক উপভোগ করা সম্ভব নয়। এতে যেমন সময় লাগে, তেমনই শারীরিক শ্রমও লাগে। শুধু তাই-ই নয় সারাদিনের শুটিং-য়ের ফলে রীতিমতো মানসিক চাপ তৈরি হয় পর্নতারকাদের মধ্যে। এদিকে সেই চাপ মেটানোর মতো কোনও জায়গা নেই। কারণ বাস্তবে অধিকাংশ পর্নতারকার সঙ্গেই তো কেউ থাকতে চান না। তাই কার্যত সঙ্গীহীন এক জীবন কাটাতে হয় তাঁদের। বাইরে থেকে এই জীবনের যে ঝলমলে আলো চোখে পড়ে, বাস্তবে তাঁর আড়ালে রয়ে গিয়েছে এমনই অনেক চাপা যন্ত্রণা। আর সেই গোপন কথাই জানিয়েছেন ওই পর্ন তারকা।