হিন্দি সিনেমার দুনিয়ার সবথেকে প্রভাবশালী বাড়ি বলতে যা বোঝায়, সে বাড়িরই ছেলে তিনি। বাবা স্বয়ং যশ চোপড়া, দাদা আদিত্য চোপড়া। অথচ উদয় চোপড়ার কেরিয়ারের এমন হাল কেন? সম্প্রতি এর জবাব দিলেন আদিত্য নিজে। ভাইকে নিয়ে কী বললেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
‘মহব্বতে’ ছবিতে তাঁকে প্রথম দেখল দর্শক। সে-ছবি মূলত শাহরুখ খান এবং অমিতাভ বচ্চনেরই। ফলত সেই অর্থে চোখে পড়েননি তিনি। এরপর টুকটাক অন্য ছবিতে অভিনয়। শেষমেশ আবার খানিকটা নজর কাড়লেন ‘ধুম’ সিরিজে এসে। বলিউডে উদয় চোপড়ার কেরিয়ার বলতে সেভাবে উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই। অথচ হওয়ার কথা তো ছিল উলটোটাই। যশ চোপড়ার ছেলে। দাদা আদিত্য চোপড়া। যে নেপোটিজমের অভিযোগে বলিপাড়া কয়েক বছর ধরে উত্তাল, তা সত্যি হলে তো বড় স্টার হতে পারতেন উদয় চোপড়া। কিন্তু তিনি তা হতে পারলেন না কেন? এতদিনে এ নিয়ে মুখ খুললেন আদিত্য চোপড়া।
আরও শুনুন: গৌরী না সিনেমা, কোনও একটা বেছে নিতে হলে কাকে? চমকে দিয়েছিল বলিবাদশার উত্তর
ভাইয়ের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ণ একেবারেই নির্মোহ। কোনওরকম রাখঢাক না করেই আদিত্য জানিয়েছেন, ‘একটা বিষয় অনেকে দেখেও দেখেন না, তা হল, প্রিভিলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এলেই যে কেউ সিনেমার দুনিয়ায় সফল হবেন, তা কিন্তু নয়। বাইরে থেকে নয়, আমার ঘরের কথাই ধরা যাক। আমার ভাই তো অভিনেতা। সে কিন্তু তেমন সফল নয়। হিন্দি সিনেদুনিয়ার সবথেকে বড় চলচ্চিত্র নির্মাতার ছেলে সে, ভাইও পরিচালক। তা সত্ত্বেও তাকে আমরা স্টার হিসাবে তৈরি করতে পারিনি। কেন নিজেদের জন্য এ কাজ আমরা করতে পারলাম না? যশরাজ তো কত নতুন অভিনেতাকেই সামনে এনেছে। এর কারণ একটাই। তা হল, মানুষ কাকে পছন্দ করবেন, তা একমাত্র ঠিক করেন দর্শক, অন্য কেউ নন।”
আরও শুনুন: প্রথমে ঘোর আপত্তি, পরে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে পর্দায় ভালবাসার মরশুম এনেছেন এই তারকারা
উদয় নিজেও তাঁর এই জার্নির কথা জানিয়েছেন। সিনেদুনিয়ার যা কিছু খুব সহজ মনে হত, তা যে আদতে সহজ নয়, তা তিনি ধীরে ধীরে বুঝেছেন। আদিত্যর বক্তব্য, মানুষ উদয়কে স্টার নয়, কমেডিতে দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু উদয় কমেডি করতে চায় না। কিন্তু উদয় নিজেকে কীভাবে দেখতে চাইছেন, তা যে বড় কথা নয়, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আদিত্য। উদয়কে দর্শক কীভাবে দেখতে চাইছেন, সেটাই আসল কথা। আর তাই যত প্রিভিলেজড ব্যাকগাউড থেকেই আসুন না কেন, উদয় স্টার হয়ে উঠতে পারেননি। যে নেপোটিজমের অভিযোগে ঝড় উঠেছিল বলিপাড়ায়, তা যে আদতে সত্যি নয় এ উদাহরণ যেন তাই-ই প্রমাণ করে দিচ্ছে। সিনেমা দুনিয়ার ভিতর থেকে যাঁরা আসেন, যাঁরা সেভাবে বহিরাগত নন, হয়তো অডিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের খানিকটা সুবিধা মেলে, এর বেশি কিছু নয়। দর্শকই ঠিক করেন, কাকে তাঁরা পছন্দ করবেন, আর কাকে করবেন না। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত জনতাই যে জনার্দন এ কথা দ্বিধাহীন ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন উদয়ের দাদা তথা দেশের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।