মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ চুম্বন। বিনোদ খান্নার ঠোঁট মিশে যাচ্ছে মাধুরীর ঠোঁটে। আর সেই গাঢ় চুম্বনে নাকি মাধুরী ঠোঁট প্রায় কামড়েই ফেলেছিলেন তাবড় অভিনেতা। আবার ইমরান হাসমির সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নার্গিস ফকরি ভুলেই গিয়েছিলেন যে কখন ‘কাট’ বলে দিয়েছেন পরিচালক। এমনটা কি সত্যিই হয়? ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে কি মাঝেমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারান তারকারা! আসুন, উত্তরের খোঁজে কান পাতা যাক বলিপাড়ার আনাচে-কানাচে।
আবেগঘন ভালোবাসার দৃশ্য। শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় ফুটিয়ে তোলা মনের উথাপাতাল। পর্দায় সে দৃশ্য দেখে রোমাঞ্চিত হন দর্শক। তবে, বলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, এমন দৃশ্যে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই বেলাগাম হয়ে পড়েন তারকা অভিনেতারা। আসলে অন্ধকার সিনেমাহলের আছে এক নিজস্ব ইন্দ্রজাল। পর্দার সঙ্গে দর্শকের দূরত্ব সে যে কখন মুছে দেয়, কেউ যেন খেয়ালই করতে পারেন না। আর তাই এক সময় পর্দার চরিত্রদের আবেগ-অনুভূতির দোলাচলের সঙ্গে একই তারে বাঁধা হয়ে যায় দর্শকের মন। অভিনেতাদের সামনে এই সুরে সুর বাঁধা নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। আরও চ্যালেঞ্জিং ঘনিষ্ঠ দৃশ্যকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। আর তা করতে গিয়ে একটু কি এদিক ওদিক হয় না? বলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, বিলকুল হয়। কেননা এরকম বহু ঘটনার কথাই সেখানে ঘুরে বেড়ায়।
আরও শুনুন: ব্লাউজ খুলতেই হবে! পরিচালকের নির্দেশে আপত্তি মাধুরীর… কী হয়েছিল তারপর?
রণবীর কাপুরকে দিয়েই শুরু করা যাক। একালের চকোলেট হিরো। পর্দায় রোম্যান্টিক নায়ক হিসাবে ফিলহাল সময়ে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। শোনা যায়, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিবানি’র শুটিং-এর সময়েই ঘটেছিল একটা ঘটনা। দৃশ্যটা ছিল, ফ্লার্ট করতে করতে ইভলিন শর্মার পায়ে চুমু এঁকে দিচ্ছেন নায়ক। সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন রণবীর যে, পরিচালকের নির্দেশ শুনতেই পাননি। অর্থাৎ পরিচালক থামতে বলার পরও তিনি অভিনয় চালিয়েই গিয়েছিলেন। এই দৃশ্যে নয় রণবীর একা পরিচালকের ‘কাট’ শুনতে পাননি। আরেকটি ঘটনা জানাচ্ছে, এরকম দৃশ্যে অভিনয়ের সময় নায়ক-নায়িকা দুজনেই পরিচালকের কথা খেয়াল করেননি। সেবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং জ্যাকলিন ফার্ন্ডাডেজ। দৃশ্যটা এরকম যে, নায়ক নায়িকা একে অন্যকে ভালোবাসার আলিঙ্গনে বেঁধে ফেলবেন, তারপর চুম্বন। এক্ষেত্রেও শোনা যায়, পরিচালক থামিয়ে দেওয়ার পরও দুজনেই কিছুক্ষণ অভিনয় চালিয়ে যান। মাধুরী-বিনোদের যে দৃশ্যের কথা একেবারে গোড়াতেই বলা হল, তা তো আছেই। তা ছাড়াও একাধিকবার মাধুরীর সঙ্গে একই রকম ঘটনা ঘটেছে। ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে মাধুরীর বিপরীতে অভিনয় করছিলেন রঞ্জিত। দৃশ্যটিও মধুর কিছু ছিল না, বরং ছিল হেনস্তার। রঞ্জিতের অভিনয় এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, এক সময় বিরক্ত হয়ে যান মাধুরী। শোনা যায়, সেটে চিৎকার করে মাধুরী নাকি বলেছিলেন, রঞ্জিত যেন আর তাঁকে স্পর্শ না করেন। শোনা যায়, দিলীপ তাহিলের উপরও একই কারণে একবার রেগে গিয়েছিলেন জয়াপ্রদা। এক্ষেত্রেও দৃশ্যটি ছিল হেনস্তার। সেই দৃশ্যে অভিনয়ের সময়ও জয়াপ্রদা এক সময় নাকি দিলীপকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন।
আরও শুনুন: তাঁর ভিডিওতে রশ্মিকার মুখ! ভাইরাল ডিপ ফেক ভিডিও-র তরুণী আসলে কে?
পুরনো দিনকাল থেকে আবার একটু নতুন সময়ে ফেরা যাক। এবারের গল্পের নায়ক-নায়িকা টাইগার শ্রফ এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। শোনা যায় পরিচালক রেমো ডিসুজার নির্দেশ ছিল, চিত্রনাট্য মেনে নায়ক নায়িকা পরস্পরের কাছে আসবেন। ক্যামেরায় চোখ রেখে পরিচালক দেখলেন, খুব প্যাশনেটলি দুজন দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলছেন। পরিচালক আর কাট বললেন না। এবারই অবাক হওয়ার পালা! সকলকে অবাক করে টাইগার আর জ্যাকলিন পরস্পরকে চুম্বনও করলেন। যা আদতে চিত্রনাট্যে ছিল না। তবে, এভাবেই নায়ক-নায়িকার ঘনিষ্ঠতা ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাঁরা।
অতএব যা রটে তার কিছু তো বটে। হোক না অভিনয়, তবু মনের আবেগ-অনুভূতি নিয়েই তো অহরহ খেলা। আর সেখানে যে কখনও সখনও একটু বেলাগাম হয়ে যাবে, এমনটা বিশ্বাস না করার অবশ্য কোনও কারণই নেই। সেকাল হোক বা একাল- ঘনিষ্ঠতায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর গল্পগুলো কিন্তু ফুরোয় না।