তিনি বলিউডের পারফেকশনিস্ট। কোথাও কোনও খুঁত ছাড়তে চান না তিনি। শুধু পেশাগত জীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও কিছু কম পারফেক্ট নন তিনি। কিন্তু ভাবতে পারেন সেই আমির খানই কিনা টানা বারো দিন স্নান না করে ছিলেন? কেন করেছিলেন তিনি এমনটা?আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
তাঁর ছবি মানেই দর্শকমহলে অন্যরকম উত্তেজনা। বলিউডে আমির খান মানেই দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে অন্যরকম কিছু। অন্তত আমির খান টু পয়েন্ট ও ভার্সন মানে তো অনেকটাই তাই। তবে কেরিয়ারের প্রথম ভাগেও নিজের কাজ নিয়ে যথেষ্ট পারফেকশনিস্ট ছিলেন আমির খান। ছবির প্রয়োজনে যে কোনও রকম কষ্ট করতেই পিছপা হতেন না এই অভিনেতা।
আরও শুনুন: ‘বন্ধু’ হওয়ার টোপ দিয়ে যৌনতার হাতছানি, বলিউডের কাস্টিং কাউচ নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আমির খান অভিনীত লাল সিং চড্ডা। সমালোচকমহলে প্রশংসা পেলেও বক্স অফিসে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ছবিটি। তবে সেই ছবিতেও জমিয়ে অভিনয় করেছিলেন আমির। এর আগে দঙ্গল ছবিতে অভিনয় করার জন্য ওজন বাড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আবার ‘গজনি’ ছবিতে সিক্স প্যাক নিয়েও দেখা গিয়েছে আমিরকে। কখনও তিনি কলেজ পড়ুয়ার ভূমিকায়, তো কখনও শিক্ষক। সব চরিত্রেই তিনি পারফেক্ট। তা এ হেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট নাকি টানা দশ-বারো দিন স্নান করেও থেকেছেন? ভাবতে পারেন? না। স্নান না করে থাকার স্বভাব মোটেই নেই এই অভিনেতার। এমন কাজ তিনি করেছিলেন একটি ছবির প্রয়োজনে।
আরও শুনুন: কিম কার্দাশিয়ানের মতোই মোহময়ী, তরুণী পুলিশকর্মীর হাতে ‘গ্রেপ্তার’ হতে ব্যাকুল অনুরাগীরা
সেই ‘আতি হ্যায় খান্ডালা’ খ্যাত ‘গুলাম’ ছবিটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। যেখানে জিভ দিয়ে দেশলাই কাঠি নিভানোর ঘটনা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল সে সময়। আর সেই ছবির ক্লাইম্যাক্স শুট করতে গিয়েই নাকি ১০-১২ দিন স্নান-মুখো হননি। কারণ শেষ দৃশ্যে নাকি গুন্ডাদের হাতে বেদম মার খাওয়ার কথা ছিল আমিরের। তার পর কাদায় ধুলো মাখা আমিরের বেশ কয়েকটি শট দরকার ছিল ছবির জন্য। আর তা নাকি একদিনে শুট করা সম্ভব হয়নি। যদি শুটিংয়ের কন্টিনিউটি নষ্ট হয়, এই ভয়ে মুখের মেকআপ বা ধুলো কোনওটাই পরিষ্কার করেননি আমির। ১০-১২দিন পর্যন্ত ওই অবস্থাতেই ছিলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
তাহলেই বুঝুন! সাধে কি আর এমন তকমা পেয়েছেন আমির।