বুদ্ধদেব গুহ। এক এবং অদ্বিতীয়। প্রতিষ্ঠানের কাঠামো তাঁর কাছে নশ্বর। পাঠকের ভালোবাসার সাতমহলা তাঁর জন্য খোলা। সেই পাঠকপ্রিয়তাই কি তাঁর বিপক্ষে গিয়েছিল? কোণঠাসা হতে হয়েছিল তাঁকে? সমকালীন সাহিত্যজগৎ কি তাঁকে খানিকটা ব্রাত্য করে রেখেছিল! রঙিন এই মানুষটির বুকের গোপনেও ছিল অভিমানের ঝোরা। একদিন তা খুলে গিয়েছিল, আর স্রোতের মতো নেমে এসেছিল না-বলা বহু কথা। শুনেছিলেন গৌতম ভট্টাচার্য।
প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে বিকল্প প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারেন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। সন্দেহ নেই, বাংলা সাহিত্যজগতে বুদ্ধদেব গুহ সেরকমই একজন। যাঁর কলমে ভর করে নেমে আসত জাদুপৃথিবী। এই নাগরিক জীবনের ভিতর বসিয়েই তিনি হাত ধরে পাঠককে নিয়ে যেতে পারতেন মায়াপৃথিবীর গহীন প্রদেশে। আর তাই পাঠকও তাঁর ভালোবাসার ডালি উজাড় করে দিয়েছিল শুধু তাঁর জন্য। বাঙালি পাঠকের কাছে তিনি নানা রঙের বুদ্ধদেব, ভালোবাসার মানুষ। সেই বুদ্ধদেবেরও কি ক্ষোভ ছিল না, ছিল না কি অভিমান! এই অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকারে নিজের মনের গোপন দরজা খুলেছিলেন অকপট বুদ্ধদেব গুহ।