জ্ঞানপীঠ পেয়েছেন গুলজার। তাঁর কবিতা পড়া যেমন এক অভিজ্ঞতা, তেমনই আশ্চর্য অনুভূতি জাগে তাঁর কণ্ঠে কবিতা শোনা-র ক্ষেত্রেও। সংবাদ প্রতিদিন শোন-র তরফে থাকল গুলজারের স্বকণ্ঠে তাঁরই কবিতা।
তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি, হ্যায়রান হুঁ মে… তেরে মাসুম সওয়াল সে পরেশান হুঁ মে, পরেশান হুঁ মে…
জীবনের সঙ্গে আমাদের এই আলাপন জমে ওঠে তাঁর শব্দের মাধুকরীতেই। তিনিই তো আমাদের শিখিয়ে দেন দু-দণ্ড জীবনের মুখোমুখি বসতে। শিখিয়ে দেন, কেমন করে সেই জীবনের চোখের দিকে তাকিয়েই বলতে হয়, আপকি আঁখো মে কুছ মেহকে হুয়ে সে রাজ হ্যায়, আপসে ভি খুবসুরৎ আপকে আন্দাজ হ্যায়।
আরও শুনুন: স্পেশাল PODCAST: বাইশে শ্রাবণ ।। পাঠ – দেবশঙ্কর হালদার
তিনি শব্দের জাদুকর। অনুভবের রং-এ তিনি লিখে দেন আমাদের জীবনের হাসি-কান্নার স্বরলিপি। আমাদের প্রেম, বিরহ, আমাদের ভালোবাসা, একাকীত্ব এসে নিশব্দে দাঁড়ায় তাঁর পাশে। আর তিনি যেন পরম আদরে তাঁদের গায়ে হাত বুলোন আর দিয়ে দেন প্রকাশের ভাষা। আমরা দেখি বেদনার প্রকাশো কী সৌন্দর্যময় হয়ে উঠতে পারে। দেখি প্রেমের ভিতর খেলা করে আশ্চর্য রংধনু। দেখি, এই ঘিসাপিটা জীবনেরর ক্লান্তির ভিতর কেমন নেমে আসে মায়াময় গোধূলির রং কিংবা ভোরের আবছায়া। তিনি আমাদের দেখতে শেখান। দেখতে শেখান আমাদের চারপাশকে। সমসময়ের একমুঠো ধুলো হাতে তুলে নিয়ে তিনি উড়িয়ে দিতে শেখান আবহমানের দিকে। তিনি আমাদের ভালোবাসতে শেখান।
তিনি গুলজার। আমাদের সকলের প্রিয় কবি, গীতিকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক পেলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। তাঁর স্বকণ্ঠে একটি কবিতা শুনে নেওয়া যাক।
কৃতজ্ঞতা: দে’জ পাবলিশিং