শিল্পসাহিত্যের উপর শাসকের নিয়ন্ত্রণ জারি করার প্রবণতা নতুন নয়। এবার লোকসভা ভোটের আগে বাংলার নাট্যদলগুলিকে বিশেষ নাটক পাঠিয়ে তা মঞ্চস্থ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যা জুড়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সরকারের গুণকীর্তন।
এভাবে খোলাখুলি সরকারের স্তুতি করার প্রসঙ্গে কী ভাবছেন বাংলার থিয়েটারকর্মীরা? অনেক দল যে ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে, তার নেপথ্যেই বা কোন মনোভাব কাজ করছে? একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্লেষণ করলেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়।
কথোপকথনে সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফিরে এল সেই সোনার পাখি। মিনিস্ট্রি অফ কালচার থেকে দেশের সব গ্রুপ থিয়েটারগুলোকে একটা স্ক্রিপ্ট পাঠানো হয়েছে। যেখানে রয়েছে মোদি সরকারের ঢালাও প্রশংসা। সঙ্গে অলিখিতভাবে বলা হয়েছে, এই নাটক মঞ্চস্থ না করলে গ্রান্ট পেতে মুশকিল হতে পারে। গ্রান্টের টাকাও জরুরি। অথচ যারা সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের গোড়াতেই সিস্টেমের জয়গান করে নাটক করতে হবে, এও এক শাঁখের করাত। এ নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
সুধীন্দ্রনাথের ‘উটপাখি’ কবিতার কয়েকটা লাইন মনে পড়ছে,
ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কী ফল পাবে?
মনস্তাপেও লাগবে না আর জোড়া
অখিল ক্ষুধায় শেষে কি নিজেকে খাবে?
কেবল শূন্যে চলবে না আগাগোড়া।
গোটা জিনিসটাই যে আসলে শূন্যে চলছে, তা-ই বোধহয় এই ঘটনায় স্পষ্ট হল।
এই সার্কুলার ও স্ক্রিপ্ট পাঠানোর পর প্রথমেই যেটা আমার মনে হয়েছিল, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে আমার এতদিনের থিয়েটার করাটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। সেখানে আমি প্রাথমিকভাবে আমার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছি যে এই কাজের সঙ্গে আমি নিজেকে সংযুক্ত রাখব না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাংলার যে বাকি থিয়েটার দলগুলো, তাদের প্রতিক্রিয়া আমি একটু বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। অনেকের কাছে ব্যক্তিগতভাবে জানতে চেয়েছি, কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছি যে, কী ভাবছে তারা।
নাট্যশিল্প: একটি ব্যক্তিগত পাঠ পরিক্রমা বইয়ে আমি অনেকদিন আগে নিজেদের এই মতামত জানানো না-জানানো নিয়ে একটা কথা বলেছিলাম। আসলে থিয়েটারের লোকজনকে মানুষ কোথাও না কোথাও বুদ্ধিজীবী হিসেবে দেখেন। রোমিলা থাপার এই ‘পাব্লিক ইন্টেলেকচুয়াল’-দের নিয়ে বলেছিলেন, টু কোশ্চেন অর নট টু কোশ্চেন, দ্যাট ইজ দ্য কোশ্চেন। ক্ষমতাবৃত্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বাধীন মতামত জানাবেন এবং যে কোনও বিতর্কিত ভাবনার সঙ্গে নিরন্তর কথোপকথন করবেন, স্বশাসিত ব্যক্তিসত্তায় সামাজিক বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের অধিকারকে সমর্থন করবেন, তাঁরাই জনগণের বুদ্ধিজীবী। এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ কথা উঠে আসে, স্বাধীন চিন্তা ও সামাজিক ন্যায়ের পক্ষে সমর্থন। একজন মানুষের মধ্যে এই দুটো বিষয়ের মিশেল সহজ নয়। আমাদের মধ্যে ক্রমাগত একটা সৃজনশীল দ্বন্দ্বও কাজ করতে থাকে। কিন্তু সত্যিই যদি জনগণের বুদ্ধিজীবী শব্দের কোনও বাস্তব চেহারা থাকে তাহলে এই মিশেলটা খুব জরুরি। কারণ আমরা জানি ভারতবর্ষের রাজনীতির মূলে রয়েছে মিথ্যাভাষণ। একজন শিল্পী যদি নিজেকে জনগণের বুদ্ধিজীবী বলে মনে করেন, তাহলে তাঁকে নিয়ত সংলাপের মধ্যে শিখতে হবে, কখন কথা বলব আর কখন নয়। বছর পঁচিশেক আগে দার্শনিক-অধ্যাপক আর্নেস্ট গেলনারের শোকসংবাদে তাঁর সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, “একজন বুদ্ধিজীবী, যিনি জানতেন কোন যুদ্ধটা লড়তে হয় আর কোনটা ছেড়ে দিতে হয়।” গৌরী লঙ্কেশদের হত্যার মধ্যে একটা ভয় নির্মাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যাতে আমরা সবাই যুদ্ধটা ছেড়েই দিই। দেশে বা রাজ্যে যখন ক্ষমতা, প্রোপাগান্ডার মধ্যে দিয়ে কোনও বিষয় সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে সক্ষম, তখন একজন শিল্পীর বোধহয় জনগণের বুদ্ধিজীবী না হয়ে কোনও পথ নেই।
প্রোপাগান্ডার নিরিখেই বোধহয় এই নাটকটিকেও খতিয়ে দেখা যায়…
এই যে প্রোপাগান্ডার কথা উঠল, এই স্ক্রিপ্টটাও কিন্তু একটা প্রোপাগান্ডারই অংশ। ‘বিকশিত ভারত’ কী, তা বোঝানোর জন্য সম্প্রতিই বাংলার বিজেপি দপ্তরে একটা সার্কুলার এসেছে। এই বোঝানোর জন্য তো একটা মাধ্যম দরকার। থিয়েটার হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম, যা সাধারণের বোধগম্য। আমি যেহেতু তোমাকে নাট্যচর্চা করার জন্য টাকা দিই, ফলে তুমি আমার এই প্রোপাগান্ডাকে জনগণের কাছে কমিউনিকেট করবে। ‘সোনার পাখি’ ফিরে এল, এটা তো সেই ‘বিকশিত ভারতে’র একটা অংশ।
প্রশ্ন ওঠে, সমাজ কতটা সক্রিয়ভাবে উভমুখী বিক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে? নাকি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থাকলেও, ক্রমবিস্তৃতির অন্ধকার স্তব্ধতার জন্ম দিচ্ছে? সামাজিক নীরবতা শিল্পীকেও নীরব করে দিচ্ছে এখন, সেটাও ভাবতে হবে। গোবিন্দ পানসারে, এম এম কালবুর্গি, নরেন্দ্র দাভোলকর, গৌরী লঙ্কেশ, বাংলাদেশের ব্লগার অভিজিৎ রায়-রা দেশ আর সমাজের বৈরিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজেদের কথাটা তো দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন। কিন্তু আমরা পারছি না। অনেক দল ও নাট্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি যে তাঁদের একটা মূল বিষয় এখানে উঠে আসছে- তা হল ভয়। তাঁরা ভাবছেন যে, এটা না করলে গ্রান্টটা থাকবে না। বড় দলের ক্ষেত্রে গ্রান্টের টাকাটাও অনেক, তারা তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন, ফলে গ্রান্ট হারানোর ভয়ে তাঁরা নীরবতাকেই শ্রেয় মনে করছেন। আর যেসব দল ছোট, তাঁদের কাছে হয়তো ওটুকুই সম্বল দল চালানোর জন্য। এই যে একটা মেন্টাল সেন্সরশিপ বা মানস-প্রহরা চলে এসেছে, অধ্যাপক পিটার রোনাল্ড ডিসুজা একে চারটি ভাগে ভাগ করছেন:
একজন বুদ্ধিজীবী কেন নিজস্ব মতামত জানাতে ভয় পাচ্ছেন, এ প্রসঙ্গে তাহলে আপনার কী মত?
রোমিলা থাপার বলছেন, নিজস্ব মতামত প্রকাশ্যে বলার ক্ষেত্রে চিন্তাবিদরা এখন দ্বিধাগ্রস্ত। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় চাপে সিলেবাস বদলানো হচ্ছে। বই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, পুড়িয়ে ফেলার ফতোয়া জারি করা হচ্ছে। তাও তাঁরা চুপ। কেন? উত্তর হিসেবে বলা হচ্ছে, যারা ওই কাজ করছেন তাদের পিছনে রাজনৈতিক প্রভুদের হাত থাকায় ভয় পাচ্ছেন শিক্ষাবিদ চিন্তাবিদরা। কিন্তু এই যে একটা ফিয়ার সাইকোসিস তৈরি হচ্ছে, এর পিছনে কি আরও কোনও কারণ আছে?
এই যে নাটকটা না করলে কী হবে, এই ভয় আসছে একটা অনিশ্চয়তার বোধ থেকে। যে, ভবিষ্যতে কী হবে। অর্থাৎ শিল্প নয়, শিল্পের অর্থনীতিই এখানে ভবিষ্যৎ। শিল্পের সঙ্গে অর্থের একটা সম্পূর্ণ সংযোগ তৈরি হচ্ছে। অধ্যাপক ডিসুজা বলছেন, কেউ যখন সরকারি ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কোনও মতামত দেওয়ার কথা ভাবেন, তখন স্বকল্পিত এক অজানা ভয় ও তার পরিণামের আশঙ্কায় তাঁরা চুপ করে থাকেন, যেটা ঘটেছে এক্ষেত্রে। একে বলা যেতে পারে, সেলফ সেন্সরশিপ। আসলে আইন আর রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করার, ভয় পাওয়ানোর দৃষ্টান্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর চোখের সামনে আছে।
আমরা কদিন আগেই দেখেছি, পুনে ইউনিভার্সিটিতে রামলীলার একটা নাটক করার জন্য স্থানীয় এবিভিপি-র সদস্যরা এসে মারধর করে, কয়েকজন অধ্যাপক ও ছাত্রকে জেলেও পোরা হয়েছে। ফলে যে কোনও সরকারি ক্ষমতাকে ভয় পাওয়াটাই এখন ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। ফলে বিরুদ্ধাচরণের চাইতে নীরবতাই বুদ্ধিমানের মতো কাজ বলে বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন। অপেক্ষা করে থাকেন প্রতিবাদ করার এক নিরাপদ সময়ের জন্য। এখনও যেমন, অনেকেই বলেছেন, আমাদের সময় আসবে। এখন এরা মেজরিটি, এখন কথা না বলাই ভালো।
নিজের সঙ্গে নিজের এই প্রতারণা চলতেই থাকে, এতে কিছুটা হলেও হয়তো ব্যক্তিমর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে মনে করে। কিন্তু আদতে এটি একটা বিপজ্জনক প্রবণতা। একটা উদাহরণ দিই। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কমিটি এ কে রামানুজমের ‘৩০০ রামায়ণ’-কে সিলেবাস থেকে বাদ দিয়েছিলেন, তার পিছনেও এই ভয়ই কাজ করছিল। আসলে আমরা একটা অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি, যেখানে আমরা চাইছি অ্যাডভেঞ্চার, একইসঙ্গে চাইছি নিরাপত্তাও।
এ তো গেল সরকারি দমননীতির কথা। সামাজিক গোষ্ঠীর সেন্সরশিপ বিষয়টি কীরকম?
বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী মাঝে মাঝেই দেশে ফতোয়া জারি করেন। এটা পরা যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না, সেটা বলা যাবে না , এই শিল্প অশ্লীল, ওই শিল্প দেশবিরোধী- এমন হাজার উদাহরণ দেওয়া যায়। ২০১১ সালে দিল্লির ইন্ডিয়ান আর্ট সামিটে মুম্বই ও পুনের কিছু ডানপন্থী সামাজিক গোষ্ঠী হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ছবি নিয়ে আপত্তি তোলে। হুমকি দেয়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে উদ্যোক্তারা ছবিগুলো প্রদর্শনী থেকে সরিয়ে দেন। তাহলে কখনও হিন্দু কখনও মুসলিম এমন কোনও কোনও গোষ্ঠী একাধিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করবে, আর আমরা শিল্পী বুদ্ধিজীবীরা নীরব হয়েই থাকব।
সমমনস্ক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর তরফেও এভাবে গণ্ডি টানা হতে পারে?
এটি সবচেয়ে জটিল, কমপ্লেক্স স্পেস। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। আমরা শিল্পীরা, চেনা শিল্পী বন্ধুর ভুল কাজের সমালোচনা করি না। সত্যের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা করতে হয়, কারণ ব্যক্তিগত ও পেশাগত দুই মনস্তত্ত্বের ফারাক করতে পারি না আমরা। ব্যক্তিগত সম্পর্কের চূড়ান্ত শেষ পর্ব বা থ্রেশহোল্ড কাটিয়ে কবে আমরা মুক্ত কথা বলতে পারব, তা আমাদের অজানা। কারণ ততক্ষণে আমরা নিরাপত্তার বেড়াজালে নিজেদের অভ্যস্ত করে তুলেছি। গ্রান্টের অভ্যাসের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তার সঙ্গে আমরা আমাদের জীবনযাপন সংযুক্ত করে ফেলেছি। ফলে যে পেশাদারি আপসে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছি, তা অজান্তেই সামাজিক স্তরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় আমি যেহেতু প্রতিবাদ করেছি, ধরে নেওয়া যেতে পারে যে আমার সমমনস্ক গোষ্ঠীর যে লোকেরা নাটকটি করছেন, তাঁরা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে আমাকে অপমান করার চেষ্টা করবেন। এমনকি আমার নিজস্ব সৃষ্টিকেও তাঁরা অস্বীকার করতে পারেন। এই অনিশ্চয়তা আছে বলেই আমরা চেনা পথেই হাঁটি।
আর ব্যক্তিগত সেন্সরশিপ কীভাবে আসে?
আগের তিনটে ছিল বাইরের কারণ। এখানে সবটাই একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত পাওয়া না-পাওয়ার উপর দাঁড়িয়ে আছে। একজন শিল্প এখানে বুঝে নিতে চান যে তিনি ক্ষমতার কাছে কতটা পাবেন। সেই অনুযায়ী তিনি চুপ করে থাকেন। কারণ যিনি সুবিধা দেবেন তাকে চটাতে চান না। এর মধ্যে যারা অযোগ্য তাদের চেনা যায়। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক যোগ্য মানুষেরা। তাঁরা নানারকম তত্ত্বের মায়াজালে আচ্ছন্ন করে নিজেদের কাজ হাসিল করেন। পুরস্কারের ঝুলি ভরেন। এবং অন্যত্র প্রতিবাদী প্রতিবাদী অভিনয় করেন।
ভোটের আগে বিজেপি ও আরএসএস-এর মূল স্লোগান ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’। এই বিকশিত ভারতের কথা প্রচারের জন্যই এ নাটকের আয়োজন। সোনার পাখি এই শব্দবন্ধও বিজেপি নেতাদের কয়েনেজ। লালকেল্লায় মোদির ভাষণের যে ধরন, তাকেই চিত্রনাট্যের আদলে আনা হয়েছে। এত কথার পর বোধহয় বোঝাতে পারছি যে এটা অত্যন্ত জটিল একটা স্পেস, যেখানে অর্থ জড়িয়ে আছে। যার ভিত্তিতে একজন শিল্পী তাঁর সামাজিক অবস্থানে ঠিক করে নেবেন তিনি প্রতিবাদ করবেন কি না।
বাংলা থিয়েটার যে আদর্শ দিয়ে তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে যে প্রগতিশীল বাম আদর্শ ছিল, এই ঘটনা থেকে বোঝা গেল তা প্রায় নিশ্চিহ্ন। যেসব দলের কাজে একটা বামপন্থী ঘরানা ছিল, তাদেরও বেশিরভাগ এ নাটক অভিনয় করছেন। অর্থাৎ একদিকে একটা আদর্শের প্রচার চলছে তাই নয়, অন্যদিকে আরেকটা আদর্শ নিজেদের আদর্শ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দরুন অন্য আদর্শকে ‘অপর’ বলে নাকচ করতেই পারছে না। আর তাই, সমঝোতা চলছে এভাবেই।