অনেকেই পোষ্য ভালবাসেন। নিয়ম করে তার যত্নআত্তিও করেন। কিন্তু এই করোনার সময়, সংক্রমণের বিপদ আছে পোষ্যদেরও। এখন প্রশ্ন হল, সেই সংক্রমণ কি কাবু করতে পারে পোষ্যের মালিককেও? অর্থাৎ আপনার পোষ্য থেকে করোনার ভয় আছে আপনার? ওমিক্রন যখন চোখ রাঙাচ্ছে, তখন নতুন করে ভাবাচ্ছে এই প্রশ্ন। আসুন শুনে নিই, এ ব্যাপারে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
আদর করে পোষ্যকে কাছে টেনে নিতে কে না ভালবাসেন! কারোর পছন্দ কুকুর, কারোর বা বিড়াল। যাই হোক না কেন, যে কোনও পোষ্যই তার মালিকের খুব প্রিয়। কিন্তু মুশকিল হল, এই করোনা সংক্রমণের দিনকালে পোষ্যরাও কিন্তু বিপদের বাইরে নেই। আর এই মুহূর্তে আবার চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। ফলত অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, পোষ্যদের থেকেও কি করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে।
আরও শুনুন: মুখে খাবার তোলেননি টানা ৭৬ বছর! এখনও রহস্যে মোড়া যোগী প্রহ্লাদের কাহিনি
সবার আগে জেনে নেওয়া ভালো, পোষ্যরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। কুকুর, বিড়াল, খরগোশ ইত্যাদি প্রাণীর ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আছে। সবসময় যে তারা এর ফলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এমনটা নয়। সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই, কোনও কোনও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানকার প্রাণীদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ঘরোয়া পোষ্যদের ক্ষেত্রে তা তো সম্ভব নয় সেভাবে। তাহলে? এইখানেই আসল ভয়ের কথাটি বলছেন পশু চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পোষ্যরা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে ঠিকই, তবে তা আসে তাদের মালিকদের থেকেই। অর্থাৎ কিনা পোষ্যদের থেকে মানুষের করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমই। বিপরীত প্রক্রিয়াটি বরং সত্যি।
আরও শুনুন: আজব কাণ্ড! দশ-দশবার করোনার টিকা নিলেন একজন ব্যক্তি
বিভিন্ন দেশ থেকে এই সংক্রান্ত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, পোষ্যরা যে আক্রান্ত হয়েছে তা মালিকদের কারণেই। হয় সরাসরি বাড়ির কারোর থেকে তারা আক্রান্ত হয়েছে। অথবা মালিকদের সুবাদে এমন কারোর সামনাসামনি হয়েছে, যিনি করোনা আক্রান্ত। তাঁর থেকেই ছড়িয়েছে অসুখ। পশু চিকিৎসকরা তাই বলছেন, পোষ্যদের বাঁচাতে সবার আগে সাবধান হতে হবে মানুষকে। বিশেষত পোষ্যদের মালিককে। সংক্রমণ রোখার ব্যাপারে মানুষদের ক্ষেত্রে আমরা যে রাস্তায় ভাবি, পোষ্যদের ক্ষেত্রেও সেরকমই ভাবা উচিত। কেউ যদি মনে করেন তিনি কোভিড আক্রান্ত হতে পারেন, তাহলে তো সাধারণত তিনি অন্যান্য মানুষের থেকে নিজেকে আলাদা করে নেন। একই ব্যবহার পোষ্যদের জন্যও প্রযোজ্য। অর্থাৎ সামান্যতম সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলে, মালিক যেন পোষ্য থেকে দূরে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, পোষ্যদের থেকে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। উলটোটার সম্ভাবনাই বেশি। তাই নিজের সুরক্ষা আর পোষ্যদের সুরক্ষা – দুইই আসলে মালিকের হাতেই।
আরও শুনুন: ইঁদুরের কামড়ে করোনা! রিপোর্ট হাতে চক্ষু চড়কগাছ তরুণীর
ইতিমধ্যেই বেশ চিন্তায় ফেলেছে ওমিক্রন। তাই নিজেদের তো সাবধানে থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে সাবধানে রাখতে হবে পোষ্যটিকেও। যে যে কারণে কোভিড সংক্রমণ হতে পারে, সেই সেই কারণগুলি থেকে দূরে রাখতে হবে ছোট্ট প্রাণীটিকে তাহলেই সে সুস্থ থাকবে।