নরচন্দ্রমা শ্রীরামচন্দ্রকে আমরা আজও পূজা করি। তাঁর আদর্শ আজও আমাদের অনুসরণীয়। ভক্তদের মনে হয়, এখন তো আর শ্রীরামচন্দ্রকে দেখার উপায় নেই। তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়ারও উপায় নেই। কিন্তু ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেন, একেবারে উলটো কথা। বলেন, চাইলেন রামের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে? রামচন্দ্রকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং শ্রীমাকৃষ্ণ।
বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ কত কিছু পড়ে তবে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কিন্তু সবসময় যে সুযোগ থাকে, তা তো নয়। তাহলে কী করণীয়? জ্ঞানের পথে হাঁটা কি হবে না! একবার ঠাকুরের এক মারোয়াড়ি ভক্ত জানতে চাইলেন, মহারাজ, উপায় কি?
আরও শুনুন: পরহিতে আত্মত্যাগের মহৎ শিক্ষা দেয় মহর্ষি দধীচির উপাখ্যান
শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন, তাঁর নামগুণকীর্তন। সাধুসঙ্গ। তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা। ভক্ত তখন বললেন, আজ্ঞে, এই আশীর্বাদ করুন, যাতে সংসারে মন কমে যায়। ঠাকুর হেসে জিজ্ঞেস করলেন, কত আছে? আট আনা? গৃহস্বামী বললেন, আজ্ঞে, তা আপনি জানেন। মহাত্মার দয়া না হলে কিছু হবে না। ঠাকুর সায় দিয়ে বললেন, সেইখানে সন্তোষ করলে সকলেই সন্তুষ্ট হবে। মহাত্মার হৃদয়ে তিনিই আছেন তো।
আরও শুনুন: ‘বিদ্রোহী ভৃগু’ কেন ভগবানের বুকে এঁকে দিয়েছিলেন পদচিহ্ন?
ভক্তটি তখন বলছেন, তাঁকে পেলে তো কথাই থাকে না। তাঁকে যদি কেউ পায়, তবে সব ছাড়ে। টাকা পেলে পয়সার আনন্দ চেড়ে যায়। শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন, কিছু সাধন দরকার করে। সাধন করতে করতে ক্রমে আনন্দ লাভ হয়। মাটির অনেক নিচে যদি কলসী করা ধন থাকে, আর যদি কেউ সেই ধন চায়, তাহলে পরিশ্রম করে খুঁড়ে যেতে হয়। মাথা দিয়ে ঘাম পড়ে, কিন্তু অনেক খোঁড়ার পর কলসীর গায়ে যখন কোদাল লেগে ঠং করে উঠে, তখনই আনন্দ হয়। যত ঠং ঠং করবে ততই আনন্দ। রামকে ডেকে যাও; তাঁর চিন্তা কর। রামই সব যোগাড় করে দেবেন।
বাকি অংশ শুনে নিন।