দিন নেই রাত নেই খালি কার্টুন দেখা! মায়েদের এমন ব্যতিব্যস্ত চিৎকার বোধহয় আশপাশের অলিগলি, বাড়িতে কান পাতলেই শোনা যায়। আর ওই চিৎকারই বলে দেবে বাড়ির খুদেটি নাক-কান বন্ধ করে চোখ ডুবিয়েছে টিভি কিংবা ইউটিউবে। উচ্ছন্নে গেছে বলে নাক কোঁচকাতেই পারেন অনেকে, তবে ইউটিউব থেকেও ভাল কিছু শিখতে পারে আপনার একরত্তি। যেমন শিখেছে এই খুদে। ইউটিউব থেকে শিখেই মাকে বড়সড় বিপদের থেকে বাঁচিয়েছে সে। শুনে নিন, সেই বীরপুরুষের গল্প।
কার্টুন চললে চোখের পাতা পড়ে না। একরত্তিটি বাড়িতে দিনরাত মুখ গুঁজে রয়েছে কার্টুনে। নিজেই চোস্ত হাতে চালিয়ে নিচ্ছে ইউটিউব, নামিয়ে ফেলছে নানাবিধ অ্যাপ। দেখে হতভম্ব বাড়ির বড়োরা।
আরও শুনুন: বিটকয়েনের ধাঁচেই কি এবার দেশে আসতে চলেছে সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি?
এ কাহানি বোধহয় ঘর ঘর কি। ভাবছেন তো, কোথা থেকে শিখছে এসব? ওই যে ইউটিউব। এই প্রজন্মের মাথাটাই খেল এসব, বলে রে রে করে উঠবেন তো অনেকে?
কিন্তু ভেবে দেখুন তো, শুধুই কি বিনোদন! এসব ইউটিউব, প্রযুক্তি ভাল কিছুই কি শেখাতে পারছে না তাদের? তাহলে আসুন এই ঘটনাটার কথা শুনে নিই।
বছর তিনেকের থমাস বফে। দিনরাত মন কার্টুনে। ইউটিউবে মুখ গুঁজে থাকত ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের খুদে বাসিন্দাটি। যথারীতি এ নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না বাড়ির লোকেদের।
কিন্তু এই ইউটিউব দেখাই বাঁচিয়ে দিল খুদে থমাসের মা কেলেই বফিকে। বছর তেত্রিশের কেলেই একদিন সিঁড়ি থেকে পড়ে যান কোনও ভাবে। মাথায় গুরুতর চোট লেগে অজ্ঞানও হয়ে যান তিনি। সে সময় বাড়িতে থমাস ছাড়া আর কেউ ছিল না।
আরও শুনুন: খাবারের প্লেটে এবার নাকি থাকবে পঙ্গপাল! স্বাদের সঙ্গে মিলবে পুষ্টিও
বেগতিক দেখে হঠাৎই ৯৯৯ ডায়াল করে বসে খুদে থমাস। বিপদসঙ্কেত পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। কেলেইয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তাঁরাই। থমাসের উপস্থিত বুদ্ধি দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। এইটুকু ছেলে, এত কিছু জানল কী করে।
বাকি অংশ শুনে নিন।