বড় বড় খেলোয়াড়দের খেলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অভ্যাসের কথা শোনা যায়। খেলার আগে নিয়ম করে নানা সংস্কারও পালন করেন কেউ কেউ। কিন্তু মাইক টাইসনের যে অভ্যাসের কথা সম্প্রতি সামনে এসেছে, তেমনটা আর কেউ করেছেন কি না সন্দেহ। কী করেছেন বিশ্ববিখ্যাত এই বক্সার? শুনে নিন।
মাইক টাইসনের মেজাজটি যে বিশেষ সুবিধার নয়, সে কথা সকলেই জানেন। কিন্তু এই মেজাজ কমানোর জন্য কী উপায় অবলম্বন করতেন তিনি, সে কথা কি জানেন?
আরও শুনুন: মায়ের খুনের বদলা, ছোট্ট প্রাণীটি কী করেছিল জানেন?
হয়তো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে কোনও বড় ম্যাচ। তো ম্যাচের আগে কোনও প্রতিযোগী কী করেন? মনঃসংযোগ, তাই না? কিন্তু বাকিদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র মিল ছিল না এই জনপ্রিয় বক্সারের। ম্যাচের ঠিক আগেই উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেন টাইসন। হ্যাঁ, ড্রেসিং রুমেই। কেন জানেন? প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি তাঁর রাগের তীব্রতা কমিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে। না হলে, তাঁর মতে, বক্সিং রিংয়ে তাঁর হাতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাণসংশয় পর্যন্ত ঘটতে পারত। আর এই কথা জানতেন বলেই সেরকম ব্যবস্থা করতে কখনও ভুলতেন না টাইসনের ড্রাইভার রুডি গঞ্জালেজ। বা বলা ভাল, বসের জন্য যৌনসঙ্গিনীর জোগান দেওয়াও আসলে ছিল তাঁর কাজের অঙ্গ।
আরও শুনুন: বয়স প্রায় ৪০০০ বছর, এখনও অবিকৃত আছে মিশরের প্রাচীনতম মমি
সম্প্রতি তারকা বক্সারের এহেন যৌন অভ্যাস সম্পর্কে মুখ খুলেছেন গঞ্জালেজ। বলেছেন, মাইক টাইসনের জীবনের গোপনতম কথাগুলির মধ্যে এটিও একটি। যে কোনও ম্যাচের আগে সাজঘরে যৌন সংগমে লিপ্ত না হলে তাঁর চলত না। আর সেই কাজের জন্য কীভাবে সঙ্গিনী জোগাড় করতেন তাঁর গাড়ির চালক? গঞ্জালেজ জানিয়েছেন, যে কোনও তারকার দলের সঙ্গে এক বা একাধিক মেয়ের দেখা মেলে। কেউ উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কেউ কোনোরকম সুবিধাপ্রার্থী, কেউ আবার শুধুই ‘জাবরা ফ্যান’। আর এই মেয়েদের মধ্যে থেকেই কাউকে বেছে নিতেন তিনি। কারণ ওই সময়ের সঙ্গিনী নিয়ে টাইসনের কোনোরকম বাছবিচার ছিল না। তিনি কেবল নিজের অপরিমিত শক্তি ও উত্তেজনার কিছুটা মোক্ষণ করতে চাইতেন। বাথরুম কিংবা পোশাক বদলানোর ঘরে এই মেয়েদের লুকিয়ে রাখতেন গঞ্জালেজ। দ্রুত সংগম শেষ করার পরেই পরবর্তী ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে টাইসনের প্রতিক্রিয়া হত, যাক, ব্যাটা আজকের মতো বেঁচে গেল!
বাকি অংশ শুনে নিন।