ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন – এ রোগের যন্ত্রণা যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরাই জানেন। মূলত মহিলারাই এই রোগে ভোগেন বেশি। আর তার কারণ হল বারোয়ারি টয়লেট ব্যবহার করা। এদিকে এখনকার দিনে, পথেঘাটে বেরিয়ে বা অফিসে গিয়ে এইরকম টয়লেট ব্যবহার না করেও উপায় নেই। তাহলে? সাবধান থাকবেন কী করে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পথেঘাটে, শপিং মলে বা অফিসে- বহুজনের ব্যবহৃত টয়লেটে এখন প্রায় প্রত্যেককেই যেতে হয়। এই ধরনের টয়লেটে, সিটের উপর থেকে-যাওয়া ব্যাকটেরিয়া চলে আসতে পারে ইউরিন্যারি ট্র্যাকে বা মূত্রনালীতে। এই ব্যাকটেরিয়াই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা ইউটিআই-এর নাটের গুরু। একথা মোটামুটি আমাদের সকলেরই জানা। তবে এ ছাড়াও আরও অনেক কারণে হতে পারে UTI। কীভাবে এর হাত থেকে বাঁচা যায়? বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে এই সংক্রমণের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। আসুন, এক এক করে শুনে নিই।
আরও শুনুন: শীতের হাওয়ায় ফাটা ঠোঁটে বেজায় জ্বালা! সারিয়ে ফেলুন ঘরোয়া উপায়েই
১) অতিরিক্ত ব্লাড সুগার আছে যাঁদের, আর মিষ্টির প্রতি অতিরিক্ত মোহ আছে যাঁদের- দুজনকেই কিন্তু সাবধানে থাকতে হবে। কারণ, কিডনি রক্তের সেই অতিরিক্ত শর্করা বা চিনি মূত্রাশয়, মূত্রনালীতে জমা করতে থাকলে, ব্যাকটেরিয়া সেই চিনিকে খাবার ভেবে মূত্রনালীতে বাসা বাঁধতে পারে।
২) জল বেশি করে খান। কারণ জল কম খাওয়া মানেই ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রনালীতে বাসা বাঁধতে সাহায্য করা। পরিমিত জলপান ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর মূত্রত্যাগ, মূত্রনালীকে শুকিয়ে যেতে দেয় না। ফলে কোনও ব্যাকটেরিয়া ওই জায়গায় জাঁকিয়ে বসার আগেই তা বের করে দেওয়া সম্ভব হয়।
৩) প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। মূত্রথলি ভর্তি হয়ে, তলপেটে চাপ পড়ছে অথচ আপনি অজুহাত দেখিয়ে, সেই চাপ উপেক্ষা করে, মূত্রত্যাগ না করে বসে রইলেন। এমন অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। আপনি হয়তো ‘বারোয়ারি টয়লেট খুব নোংরা’ –এমন অজুহাত দেখিয়ে এই কাজটা করে থাকেন। কিন্তু এখন বাজারে এমন বহু জিনিস এসে গেছে, যাতে এই অজুহাত আর টিকবে না। বারোয়ারি টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে টয়লেট সিট স্যানিটাইজার স্প্রে ব্যবহার করুন। এছাড়াও আছে কাগজের টয়লেট সিট কভার, যা আপনার ব্যাগে স্বচ্ছন্দে জায়গা করে নিতে পারে। আর পাবলিক টয়লেটের জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। এ ছাড়াও বারোয়ারি টয়লেট সিটে বসার অসুবিধা দূর করতে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য রয়েছে ‘পি কোন’ বা ‘পি ফানেল’। এর সাহায্যে প্রয়োজনে দাঁড়িয়েই প্রস্রাব করতে পারেন।
আরও শুনুন: শীতের হাওয়ায় চুল পড়ার সমস্যা শুরু… ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেবেন কীভাবে?
৪) গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের এমনিতেই খুব সাবধানে থাকতে হয়। কারণ ওই সময় তাদের শরীরে ব্লাডার ও সংলগ্ন পেশিগুলিকে শিথিল করার জন্য হরমোন সংক্রান্ত বদল ঘটতে থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই খুব সহজেই ইউরিনারি ট্রাক ইনফেকটেড হতে পারে।
বাকি অংশ শুনে নিন।