রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল। রাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা-হাওড়ায় পুরভোট। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে শিথিল নাইট কারফিউ। কাঁচা আনাজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব মমতা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 7 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- আফগানদের পরাজয়ে আশা শেষ, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ভারতের
বিস্তারিত খবর:
1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল। রাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রদবদলের পর স্বাস্থ্য, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রইল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। অর্থদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের পূর্ণ মন্ত্রিত্ব, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। আপাতত আর কোনও নতুন মুখ আসেনি মন্ত্রিসভায়। বদলে পুরনো মন্ত্রীদের হাতেই দেওয়া হল অতিরিক্ত দায়িত্ব।
অমিত মিত্রর অনুরোধ রেখে এবারে ভোটে তাঁকে দাঁড় করাননি মমতা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই তাঁর জন্যও নতুন পদ তৈরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ৩ বারের অর্থমন্ত্রীকে বসালেন নিজের অর্থ উপদেষ্টার পদে। এই নতুন পদে পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন অমিত মিত্র। শিল্প ও বাণিজ্যর পাশাপাশি অমিত মিত্রের শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন বেচারাম মান্না।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সাধন পাণ্ডের ক্রেতা সুরক্ষার দপ্তরের দায়িত্ব ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে। তাঁর মৃত্যুর পর সেই দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন জলসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। নিজের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দায়িত্বের পাশাপাশি পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন পুলক রায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠী উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন শশী পাঁজা। ২৯ নভেম্বর পরবর্তী বৈঠকে বসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা।
2. ১৯ ডিসেম্বরেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট। পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, রাজ্যের প্রস্তাবেই সায় দিয়ে মঙ্গলবার পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে নির্বাচনী সূচির কথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ২০ নভেম্বর পুরভোট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে পারে কমিশন।
নির্বাচনীবিধি মতে, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির ২৭-৪২ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। কমিশন সূত্রে খবর, ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার কাজ শুরু হয়ে যাবে। দুই পুরসভাতেই ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর আর প্রত্যাহারের শেষদিন ৪ ডিসেম্বর, শনিবার। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, শুধু হাওড়া এবং কলকাতা নয়, রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতেও নির্বাচন করাতে হবে একই দিনে। বস্তুত, করোনার জেরে কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। তবে, বিধানসভা ভোট এবং রাজ্যের ৭ কেন্দ্রের উপনির্বাচন মিটতেই পুরভোট করাতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।