তাঁর নাম শুনলেই আমাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। আর ছবি দেখলে হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাওয়ার জোগাড়। তিনি, চার্লি চ্যাপলিন। অথচ মৃত্যুর পরেও শান্তি পাননি পৃথিবীবিখ্যাত এই মানুষটি। চুরি গিয়েছিল তাঁর মৃতদেহও।
তাঁর ছবিতে রং ছিল না। কিন্তু একের পর এক সাদা-কালো ছবিতে মানুষের জীবন, আবেগ, অনুভূতির সব রংকেই ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি। বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কমেডি-তারকার শিরোপা এখনও তাঁরই মাথায়। আর এর পাশাপাশি তাঁর গোটা জীবনটাও অদ্ভুত বর্ণময়। জীবদ্দশায় বিভিন্ন বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। এমনকি মৃত্যুর পরেও রেহাই মেলেনি তা থেকে।
আরও শুনুন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ‘ভূত’, নাস্তানাবুদ হয়েছিল দুর্ধর্ষ নাৎসি বাহিনীও
চার্লি চ্যাপলিনের মৃত্যু হয়েছিল সুইজারল্যান্ডে, নিজের গ্রামের বাড়িতে। তখন তাঁর বয়স ৮৮ বছর। কর্সিয়ে- সার- ভিভে গ্রামে নিজের বাড়িতেই জীবনের শেষ ক’টা দিন কাটিয়েছিলেন চার্লি। সঙ্গী ছিলেন তাঁর চতুর্থ স্ত্রী উনা ও’ নিল। বিয়ের সময় উনা’র বয়স ছিল মাত্র ১৮, আর চার্লির ৫৩। বয়সের এতখানি তফাত সত্ত্বেও শেষ জীবনটা সুখেই কাটিয়েছিলেন এই দম্পতি। ১৯৭৭ সালের ক্রিসমাসের দিন না-ফেরার দেশে পাড়ি দেন চার্লি। আর তার কিছুদিন পরেই উনা’র জীবনে নেমে আসে এক নতুন বিপর্যয়।
আরও শুনুন: সবচেয়ে বড় চিঠি ৩ হাজার ফুটের, জানেন ক্ষুদ্রতম চিঠির লেখক কোন বিখ্যাত ব্যক্তি?
চার্লির মৃত্যুর পরে মাত্র মাস দুয়েক কেটেছে তখন। এমন সময় জানা গেল, চার্লির মৃতদেহটিই বেপাত্তা। কবরখানা থেকে মাটি খুঁড়ে কারা চুরি করে নিয়ে গেছে চার্লির কফিন। চার্লির মতো বিখ্যাত মানুষকে নিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করল কারা! যেহেতু উত্তর কারোরই জানা নেই, গল্প রটতে থাকল মুখে মুখে। সংবাদমাধ্যমেও জোর চর্চা চলল, কী হতে পারে এই চুরির নেপথ্য কারণ। দ্বিতীয় বিশযুদ্ধে হিটলারের পতন হলেও তখন জার্মানিতে নাৎসি মতবাদে বিশ্বাসী আরেক দল মানুষের উত্থান হয়েছিল। কেউ দাবি করল, ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবির প্রতিশোধ নিতে সেই নিও-নাৎসিরাই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আবার কারও কারও মতে, ওসব কিছু না, স্রেফ কোনও বড়লোক সংগ্রাহকের বাতিক। চার্লির কফিন জমাবেন বলে লোক লাগিয়ে চুরি করিয়েছেন তিনি।
শুনে নিন বাকি অংশ।