ভূত আছে কি নেই, এ প্রশ্ন চিরকালের। তবে ভূতের ভয় কিন্তু আছে। তাই ভূতুড়ে বাড়ির গল্প জাঁকিয়ে বসে মানুষের মনে। জানেন কি, শহর কলকাতার বুকেও রয়েছে এমন একাধিক বাড়ি? যেখানে ভূতের দেখা মেলে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
বাড়িগুলো কয়েকশো বছরের পুরনো ঠিকই। তবে ভূতুড়ে বাড়ি বলতে মনে যে ছবি ভেসে আসে, ভাঙাচোরা বাড়ি, জং ধরা দরজা, ঝুল আর জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে… না, এই বাড়িগুলো ঠিক তেমনটা নয় কিন্তু। আরও আশ্চর্যের কথা হল, এর অনেকগুলো বাড়িতেই রীতিমতো মানুষের বাস, নিদেনপক্ষে যাতায়াত রয়েছে। তবুও, সেসব বাড়িতে নাকি মাঝে মাঝেই অনুভব করা যায় অশরীরী আত্মার উপস্থিতি। এমন দাবি করেছেন একাধিক মানুষ। জানেন কি, খোদ কলকাতা শহরের বুকেই রয়েছে এমন সব বাড়ি?
আরও শুনুন: বিলেতে মৃত্যু বড়লাটের, তবে কীসের টানে আজও নেটিভ শহরে ঘোরে হেস্টিংসের ভূত?
ঐতিহাসিক শহর, ভূতেরাও কম ঐতিহাসিক নয়। কলকাতার ভূতের বাড়ি বললে প্রথমেই উঠে আসে আলিপুরের বেলভেডিয়ার ভবন থুড়ি জাতীয় গ্রন্থাগারের কথা, যেখানে আজও রাত্রে নাকি ঘোড়া ছুটিয়ে ফেরত আসেন বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংসের ভূত। হেস্টিংস হাউসে ফেলে যাওয়া একখানা কাঠের বাক্স, যা খুঁজে পাওয়ার জন্য ভূতপূর্ব বড়লাট ক্যালকাটা গেজেটে বিজ্ঞাপন দিয়ে দুহাজার রৌপ্যমুদ্রা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন, সেই বাক্স খুঁজতেই নাকি এ বাড়িতে আনাগোনা করেন তিনি। স্বয়ং লর্ড কার্জন সাহেব ১৯০১ সালেও নাকি তাঁকে দেখেছেন! কেউ কেউ আবার বলেন, মিসেস হেস্টিংস নাকি মোটে নোংরা, অগোছালো ভাব সইতে পারতেন না, তাই লাইব্রেরিতে কেউ বই এলোমেলো করলে ভারী চটে যান তিনি।
আরও শুনুন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ‘ভূত’, নাস্তানাবুদ হয়েছিল দুর্ধর্ষ নাৎসি বাহিনীও
রাইটার্স বিল্ডিং, যা একসময় ছিল রাজ্যের প্রধান সরকারি কার্যালয়, সেইখানে একসময় ছিল এক গোরস্থান। খোদ মহাকরণে ভূতেদের আনাগোনা নাকি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই। শোনা যায়, দোতলা থেকে চাপা গোঙানির আওয়াজ ক্রমশ সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেত উপরের দিকে। সেই আওয়াজ শোনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন অনেক নাইটগার্ডই।
সেন্ট জনস চার্চের সমাধিভূমি-সংলগ্ন আকাশবাণীর গার্স্টিন প্লেসের অফিস। স্টুডিওর পাশেই একটা ছোট ঘরে জমিয়ে রাখা হত পুরনো রেকর্ড। ওই রেকর্ডরুমের আশেপাশে প্রায়ই নাকি দেখা মিলত এক সাহেব ভূতের। বেতারকর্মীরা তাকে বলতেন গ্যারি সাহেব। রাতের বেলা সাহেবের পিয়ানো বাজানোর শব্দও নাকি শুনেছেন অনেকে। লীলা মজুমদার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বিকাশ রায়, অনেকেই জানিয়েছেন এই সাহেব ভূতের কথা।
শুনে নিন বাকি গল্প।