দলত্যাগের ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরে মতাবন্দনায় মুখর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে ৬ মাস পর রাজ্যে গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারকে উৎখাত করার ডাক অভিষেকের। ডিসেম্বরে ত্রিপুরা সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি২০ সম্মেলনে কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্রের জন্য চাপ মোদির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 30 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ভ্যাটিকানে মোদি-পোপের প্রথম সাক্ষাতে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা
আরও শুনুন: 29 অক্টোবর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ রাজ্যে
বিস্তারিত খবর:
1. সমস্ত জল্পনার অবসান। দলত্যাগের ঠিক ৯ মাসের মাথায় তৃণমূলে ফিরলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন তিনি। বললেন, “আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত, ভুল স্বীকার করছি।” ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রাজীব। তাঁকে গোটা ভারতের ‘মা’ বলে সম্বোধন করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজীব রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, একাধিকবার প্রকাশ্যে বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কখনও আবার সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের সপক্ষে। সব জল্পনা উড়িয়ে রবিবার ত্রিপুরার আগরতলায় রবীন্দ্রভবনের সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
জানা গিয়েছিল, যেহেতু ত্রিপুরার গত ভোটেও রাজীব তৃণমূলের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাই আগরতলার মাটিতেই তিনি ফের তৃণমূলে ফিরতে চান। রবিবার দুপুরে হোটেল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আগরতলার সভার উদ্দেশে রওনা হন রাজীব। ত্রিপুরার সভা থেকে এদিন বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভেই নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তাঁর কোনওটাই ফলপ্রসূ হত না। সব মিলিয়ে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজীব। এদিনই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস।
2. এখনও করোনার ধাক্কা পুরোপুরি সামাল দেওয়া যায়নি। তারই মাঝে প্রায় ৬ মাস পর ফের গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সুতরাং রবিবার সকাল থেকে ফের চেনা ছন্দে প্রত্যেক স্টেশন।
তবে যাত্রীদের দাবি, ৫০ শতাংশ যাত্রীর ওঠার কথা থাকলেও বহু ক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। কোভিডবিধি না মানার অভিযোগও উঠেছে। তবে কোনও কোনও স্টেশনে যথেষ্ট তৎপর আরপিএফ এবং জিআরপি। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে কীভাবে রাজ্যের নির্দেশিকা মানা হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ এড়াতে খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকাল ট্রেনে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
সব স্টেশনে লোকাল ট্রেন চললেও, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএমের কাছে কোনও নির্দেশিকা এসে পৌঁছয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। লোকাল ট্রেন না চলায় ক্ষুব্ধ বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার অগণিত মানুষ।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।