আশ্চর্য এক পোস্ট অফিস গড়ে উঠেছে বনুয়াতু দেশটিতে। গোটা পৃথিবীতে যার তুলনা মেলা ভার। কেন? শুনেই নিন।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে অবস্থিত ছোট্ট একটি দ্বীপরাষ্ট্র বনুয়াতু। অনেকে হয়তো এই ছোট্ট দেশটির নামই শোনেননি। কিন্তু এই ছোট দেশটিই এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছে, গোটা পৃথিবীতে যার আর জুড়ি মিলবে না। কী সেই ঘটনা? খুলেই বলি।
আরও শুনুন: জলের উপর ভাসছে আস্ত ডাকঘর, জানেন কোথায় দেখা মিলবে এর?
এই দেশে গড়ে উঠেছে এমন একটি পোস্ট অফিস, পৃথিবীতে যেমন আর দ্বিতীয়টি নেই। ভাবছেন, একটা পোস্ট অফিসের মধ্যে আর কী এমন অভিনব ব্যাপার থাকতে পারে? সেটাই তো কথা। আমি আপনি যে পোস্ট অফিসে যাই, তা দাঁড়িয়ে থাকে বড় রাস্তার উপর। কিন্তু এই বিশেষ পোস্ট অফিসটিতে যেতে চাইলে আপনাকে সাঁতার জানতেই হবে। কারণ, এই পোস্ট অফিসের ঠিকানা জলের তলায়।
আরও শুনুন: মিশরে মমির সঙ্গে মিলেছিল মেনুকার্ড, কেন তৈরি হয়েছিল এই তালিকা?
গল্প নয়, একেবারে একশো ভাগ সত্যি। পৃথিবীর একমাত্র আন্ডারওয়াটার পোস্ট অফিসের মর্যাদা পেয়েছে এই বিশেষ ডাকঘরটি। হাইডঅ্যাওয়ে আইল্যান্ড মেরিন স্যাংকচুয়ারির মধ্যে অবস্থিত এই পোস্ট অফিস। সমুদ্রতল থেকে মোটামুটি ৩ মিটার গভীরে রয়েছে এটি। আর এখান থেকে আপনি অনায়াসে চিঠি পাঠাতে পারবেন কাউকে। তবে সেই চিঠিতে কালি দিয়ে কোনও স্ট্যাম্প মারা থাকবে না। পরিবর্তে পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ এখানে রেখেছেন একটি এমবসড ক্যান্সেলেশন ডিভাইস। যন্ত্রের মাধ্যমেই পোস্ট অফিসের নিজস্ব ছাপ পড়বে চিঠিতে। আর তারপর স্থানীয় চিঠিই হোক কি আন্তর্জাতিক চিঠি, তা রওনা হয়ে যাবে তাদের নিজের নিজের গন্তব্যে। বিশেষ করে সাঁতারু এবং স্নরকেলার বা ডাইভাররা এখান থেকে সহজেই চিঠি পাঠাতে পারেন। যদি ভাবেন, জলের নিচে কাগজ বা কাগজে লেখা চিঠি নিয়ে যাওয়ার উপায় কী? তা নিয়েও চিন্তা নেই মোটেও। কারণ এই পোস্ট অফিসেই মেলে বিশেষ একরকমের ওয়াটারপ্রুফ পোস্টকার্ড। ২০০৩ সালের ২৬ মে থেকে যাত্রা শুরু করেছে এই অভিনব পোস্ট অফিস।