খাদ্য রসিকদের সর্বনাশ করে দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি ভিডিয়ো। তাঁরা আপাতত ভুলেও ধাবার খাবারের স্বাদ নিতে যাবেন না। আসলে নেটপাড়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের এক ধাবায় এক ব্যক্তি তন্দুরি রুটি বানানোর সময় রুটিতে থুতু ফেলছেন৷ কী করে এমন জঘন্য কাজ করেন কেউ? অভিযুক্ত কি মানসিকভাবে অসুস্থ?
ধাবার রুটি-তর্কা, রুটি-মাংসের স্বাদই আলাদা। খোলা আকাশের নিচে খাটিয়ায় বসে গরম গরম খাবার উপভোগ করতে সকলেই ভালবাসেন। তবে সম্প্রতি গাজিয়াবাদের একটি ধাবার এমন এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যার পর ধাবায় খাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাববে না কেউ। কেন? কী এমন ঘটল?
ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তন্দুরি রুটি বানানোর সময় রুটিতে থুতু ফেলছেন৷ ভুল করে একবার থুতু ফেলেননি। বরং বারবার একই ভঙ্গিতে রুটি বানাতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। অর্থাৎ কিনা এটাই ওই ব্যক্তির রুটি তৈরির প্রক্রিয়া। যিনি রুটি বানানোর এই নোংরা প্রক্রিয়া ক্যামেরবন্দি করেন, তিনি কিন্তু ধাবার খাবারের মজা নিতেই গাজিয়াবাদের চিকেন পয়েন্টে গিয়েছিলেন। কৌতূহলে একবার রান্নাঘরে উঁকি দেন। তখনই চোখে পড়ে বিচ্ছিরি ব্যাপারটা। প্রথমটায় তো হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ভদ্রলোক। এরপর অবশ্য ঘটনার প্রমাণ হিসেব ভিডিয়ো তুলে রাখেন। যে ভিডিয়ো দেখলে সবারই অত্যন্ত ঘেন্না বোধ হবে।
আরও শুনুন: ‘ভিক্ষা করে খাই না’, পুনের কলম বিক্রেতা বৃদ্ধার আত্মমর্যাদাবোধে মুগ্ধ দেশ
ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ দেখে ফেলেছেন রুটি বানানোর এই জঘন্য প্রক্রিয়া। নেটাগরিকরা প্রত্যেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি তমিজউদ্দিনের শাস্তি দাবি করেছেন। অনেকেরই বক্তব্য, ‘কী করে একজন এমন কাজ করেন। অন্যকে যে খাবার পরিবেশন করা হবে, তা থুতু দিয়ে তৈরি করেন কোন মানসিকতায়!’
আরও শুনুন: পুরোনো ফ্রিজের মধ্যেই হাজির আস্ত লাইব্রেরি, কলকাতায় বই পড়ার নতুন ঠিকানা
গাজিয়াবাদের ধাবার কাণ্ড সামনে আসার পরে থুতু দিয়ে রুটি তৈরির আরও কিছু ঘটনা সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে খাবার যাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। এদিকে ধাবার খাবার নিয়ে কিন্তু চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন খাদ্য রসিকরা। ধাবার রুটি-তর্কা, রুটি-মাংসের স্বাদই আলাদা! আপাতত এমনটা আর বলা যাচ্ছে না।