এবারও পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। এবার তৃণমূলের পথে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মাথাপিছু আয়বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে সেরার তকমা রাজ্যের। বেসুরো অভিনেতা হিরণ। বাড়ছে দলবদলের জল্পনা। গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম মহিলা হিসাবে সেঞ্চুরি স্মৃতি মন্ধানার।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 29 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
বিস্তারিত:
1. এবারও দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দর্শকের প্রবেশে জারি থাকছে নিষেধাজ্ঞা। গতবছরের হাই কোর্টের বিধিনিষেধ মেনেই এ-বছরেও পুজোর আয়োজন করা হবে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, আগের বছরের নির্দেশই বহাল থাকবে পুজোর আয়োজনের ক্ষেত্রে। রাজ্য সরকারের এই হলফনামার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চও তাতে সায় দিয়েছে। উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা দিয়ে আজ একথা জানায় রাজ্য সরকার। একই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে কালীপুজোতেও।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আয়োজন নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন চলে। শেষমেশ দর্শকশূন্য মণ্ডপে পুজোর অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। নির্দিষ্ট গাইডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়। সেই গাইডলাইন মেনে কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। কোভিডবিধি মেনে পুজো করার জন্য ক্লাবগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সরকার নিজেও তা মেনে চলার বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল।
রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসাও করেছিল হাই কোর্ট। এ-বছর এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হওয়ার পর উচ্চ আদালত রাজ্যের পরিকল্পনা জানতে চায়। শুক্রবার হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানায়, আদালতের বেঁধে দেওয়া গত বছরের গাইডলাইনই মেনে চলা হবে। তাতে সন্তোষপ্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এবারও তাহলে সেভাবেই পুজো হোক।
বড় ক্লাবগুলির পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন ক্লাব সদস্যের তালিকা তৈরি করা হবে। যাঁরাই কেবল পুজোর আয়োজনের জন্য মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তবেই মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে। আর ছোট ক্লাবের ক্ষেত্রে মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ১৫ জনকে ছাড় দেওয়া হবে। প্রতিটি ক্লাবকেই এই তালিকা তৈরি করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দর্শকরা নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে মণ্ডপ দর্শন করতে পারবেন। তবে একেবারেই ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না।
2. গোয়ার পর এবার আরও এক রাজ্যের কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরানোর পথে তৃণমূল। সূত্রের খবর, শীঘ্রই সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন আরও ১২ জন বিধায়ক। অর্থাৎ গোটা কংগ্রেস পরিষদীয় দলটাই কার্যত দল ছাড়ার পথে। অন্তত মেঘালয়ের স্থানীয় রাজনীতিতে এমনটাই জল্পনা।
মুকুল সাংমা মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড় নাম। এই মুহূর্তে মেঘালয় কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তিনি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সাংমা। ২০১৮ নির্বাচনে মেঘালয়ে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর তিনি সেরাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ করছেন। তবে, ইদানিং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রভাবশালী এই কংগ্রেস নেতার। আসলে, সদ্যই মুকুলকে উপেক্ষা করে সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালাকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটিই মুকুলের ক্ষোভের আসল কারণ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। শুধু সাংমা নয়, এর আগে মেঘালয়ের আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে গোপনে তৃণমূলের যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের দাবি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিন দশেক আগেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মুকুল। যদিও, সে-সময় সেই সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, তিনি দল ছাড়ছেন না। কিন্তু, তারপর থেকে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব আরও বেড়েছে। এমনকী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচিতে তিনি গরহাজির ছিলেন। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা বেড়েছে সুস্মিতা দেবের মেঘালয় সফরের পর।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।