এই গ্রামে মাটির বাড়ি নেই, আছে আকাশছোঁয়া বাহাত্তর তলা ভবন। সুপার মার্কেট, থিম পার্কও আছে। দামি গাড়ি আছে প্রায় প্রত্যেক বাসিন্দার। কোন জাদুতে একটা গ্রামে সকলেই হয়ে উঠতে পারেন কোটিপতি? আর সে গ্রাম আছেই বা কোথায়!
গ্রামের ছবি আঁকতে বসলে কেমন ছবি মনে আসে? সবুজ খেত-খামার, কাঁচা রাস্তা, মাটির বাড়ি, নদী, নৌকো ইত্যাদি ইত্যাদি৷ কিন্তু এও সত্যি যে, গ্রাম মানে সবুজ প্রকৃতি যেমন, তেমন সেখানে দারিদ্র্যও আছে৷ এ কথা আমাদের সবারই জানা যে, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আজও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। তবে, এখন যে গ্রামের কথা বলব, সেই গ্রাম একেবারেই আলাদা। এখানকার লাইফস্টাইল অত্যাধুনিক। এমন সব সুযোগসুবিধা উপভোগ করেন এই গ্রামের মানুষ, বহু শহুরে নাগরিকও তা ভাবতে পারবেন না। সাধে কি আর এ হল কোটিপতিদের গ্রাম!
আরও শুনুন: চারপেয়ে ‘স্ট্রাইকারে’র দাপটে পণ্ড ফুটবল ম্যাচ, কোথায় ঘটল জানেন?
এই গ্রামের খোঁজ পেতে আমাদের পাড়ি দিতে হবে চিনের জিয়াংজু প্রদেশ। আপাতত মনে মনেই সেখানে পাড়ি জমানো যাক। জিয়াংজু প্রদেশের একটি গ্রাম হল গিয়ে হুয়াক্সি৷ এটিই না-কি বিশ্বের ধনীতম গ্রাম৷ এ’গ্রামের ডাকনামও খাসা, সাধ করে একে ডাকা হয় ‘সুপার ভিলেজ’ নামে৷ প্রশ্ন ওঠে, কেমন করে ‘সুপার ভিলেজ’ হয়ে উঠল হুয়াক্সি?
আরও শুনুন: রাস্তায় বেরিয়ে আচমকাই ঘুমিয়ে পড়ে মানুষ, আজব এই ঘুমনগরী কোথায় জানেন?
উত্তর জানতে বেশ কয়েক দশক পিছোতে হবে। সেটা ১৯৬৭ সাল। সেই বছরেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে হুয়াক্সি৷ সে-সময় অবশ্য আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গে মিল ছিল এ-গ্রামের। ছিল দিগন্ত বিস্তৃত খেত, মাটির বাড়ি, কাঁচা রাস্তা – সবই৷ গ্রামের এই সাবেকি চেহারা বদলানোর কারিগর কিন্তু একজনই। তিনি হলেন তৎকালীন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা উ রেনবাওয়ার৷ তাঁর পরিকল্পনার জোরেই নাকি এককালে যাঁরা চাষবাস করতেন, কোনওরকমে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তাঁরাই আজ কোটিপতি৷ না, এ মোটেই আজগুবি কথা নয়। কেননা তথ্য বলছে, আজকের হুয়াক্সির প্রায় প্রত্যেক বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কত টাকা? শুনলে বেশ অবাকই হতে হবে, কেননা টাকার অঙ্কটা তো নেহাত কম নয়। জানা যায়, এই গ্রামের একেক জনের অ্যাকাউন্টে রয়েছে কম-বেশি ১০ লাখ ইউনান করে। ভারতীয় মুদ্রায় যা হয়, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মতো৷
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।