কপিল শর্মা। এই একটা নামেই চনমনে হয়ে ওঠে দর্শক। টেলিভিশনের পর্দায় বা নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে থাকা অজস্র ভিডিওর দৌলতে সকলেই জানেন, কপিল শর্মা মানেই হাসির টনিক। মনখারাপ কাটানোর ক্যাপসুল। সেই কপিল শর্মার অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধেই দায়ের হল এফআইআর। প্রশ্ন উঠছে, মজা করতে গিয়ে কি সীমানা অতিক্রম করছে এই কমেডি শো?
কমেডি শো মানেই একরাশ হাসির হল্লা। এই ব্যস্ততার যুগে, যখন সকলেই নানা কারণে অবসাদের শিকার, তখন এই অনুষ্ঠানগুলো মানুষের মন্দ লাগে না। যেমন, কপিল শর্মা শো। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান নানা ভাবে দর্শকের মনোরঞ্জন করে। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে এফ আইআরদায়ের করেছেন এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগে, অনুষ্ঠানে একটি আদালতের সেট তৈরি করা হয়। সেখানে মদ্যপের অভিনয় করেন অভিনেতারা। যা যথেষ্ট অবমাননাকর। এবং সেইজন্যই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও শুনুন: ‘খোলামেলা পোশাক নায়িকারা কি শুধু অনস্ক্রিনেই পরবে?’, প্রশ্ন তুললেন বিপাশা
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আইনজীবী আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে মহিলাদের নিয়েও অশ্লীল মন্তব্য করা হয়। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মনোরঞ্জনের নেশায় এই ধরনের কমেডি শো আসলে সৌজন্যের সীমাও অতিক্রম করে ফেলছে?
মানুষকে হাসানোর ক্ষমতা দুর্লভ। সন্দেহ নেই সেই কাজটি এই ধরনের অনুষ্ঠানের অভিনেতারা চমৎকার ভাবেই করে থাকেন। কিন্তু বিষয়ের ক্ষেত্রে, বা হাসানোর পাঞ্চলাইন আনতে গিয়ে অনেক সময়ই যা যা কথা বলা হয়ে থাকে, তা সবটাই আর নিছক হাসির হয়ে থাকে না। নির্মল হাস্যরসের গণ্ডি পেরিয়ে কখনও সখনও তা অবমাননার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয়। শুধু কপিল শর্মা শো নয়, এমন অভিযোগ বহুক্ষেত্রেই দেখা যায়। ফলে, একটি প্রশ্ন উঠেই আসে। সেটা হল, কমেডি জরুরি বিষয় নিশ্চিতই, কিন্তু কোন বিষয়ে কতটা বলা হলে তা কমেডির পর্যায়ভুক্ত হবে, সেই সীমারেখা কি থাকা উচিত?
আরও শুনুন: ‘জাবরা ফ্যান’ গানটাই নেই সিনেমায়, অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম নির্দেশে ‘ক্ষতিপূরণ’ পেলেন ভক্ত
এই বিষয়ে অবশ্য নানামহলে মতভেদ আছে বিস্তর। কোনও কোনও কমেডিয়ান বললেন, সূক্ষ্ম হলেও একটা সীমারেখা আছে। ঠিক কাকে কোন বিষয়ে কতটা বলা হবে, তার সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। পালটা মত পোষণ করেন অনেকেই। শিল্পের স্বাধীনতা যেহেতু স্বীকৃত, তাই এইরকমের কোনও গণ্ডি টেনে প্রকাশের স্বাধীনতাকে আটকে দেওয়ার পরিপন্থী তাঁরা।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।