দেশের মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্প সাজিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এবার তিনি দাতার ভূমিকায় নন, বরং প্রাপকের আসনে। এক অভিনব উপহার পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কী সেই উপহার? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
নতুন একটি মূর্তি উপহার পেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সৌজন্যে বেঙ্গালুরুর এক কর্পোরেশন সদস্য মোহন রাজু। বেঙ্গালুরু শহরে মূর্তিটি স্থাপিত হবে খুব তাড়াতাড়িই। উপহার কেন বলছি? কারণ, মূর্তিটি আর কারও নয়, প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই প্রতিকৃতি। ভাবছেন, তাতেই বা চমকের কী আছে? বটেই তো। যে দেশনেতার মূর্তি ঠাঁই পেয়েছে খোদ মাদাম তুসো-র মোমের মূর্তির সংগ্রহশালায়, আর কোন মূর্তি তাঁকে আশ্চর্য করবে! চমক সেখানেই। নরেন্দ্র মোদির এই স্ট্যাচু তৈরি হয়েছে বাতিল যন্ত্রাংশ দিয়ে। ১৪ ফুট উঁচু এই মূর্তি তৈরি করার কৃতিত্ব অন্ধ্রপ্রদেশের দুই ভাস্করের। সম্পর্কে তাঁরা পিতা পুত্র। গুন্টুর জেলার তেনালির বাসিন্দা কাটুরু ভেঙ্কটেশ্বর রাও এবং তাঁর ছেলে কাটুরু রভি বানিয়েছেন এই মূর্তিটি।
আরও শুনুন: দক্ষ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ ছিলেন রাম! এবার তা নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করতে হবে কলেজ পড়ুয়াদের
সাধারণত এই ধরনের কাজে যেসব বাতিল জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়, তা আসে অটোমোবাইল কোম্পানিগুলির ফেলে দেওয়া বর্জ্য পদার্থ থেকে। তবে ব্রোঞ্জ স্ট্যাচুর ক্ষেত্রে যেমন নিখুঁত অবয়ব গড়ে তোলা সম্ভব হয়, স্ক্র্যাপ আর্টের ক্ষেত্রে তা অত সহজে করা যায় না বলেই জানান ভেঙ্কটেশ্বর রাও। বিশেষ করে কুড়িয়ে বাড়িয়ে পাওয়া এইসব বাতিল জিনিস দিয়ে মুখের যথাযথ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা রীতিমতো কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটাই বেছে নিয়েছিলেন পিতা পুত্র। তাঁদের এইরকম কাজে হাতেখড়ি হয়েছিল জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির একটি মূর্তি বানানোর মধ্যে দিয়ে। সেই মূর্তিটি গড়তে লেগেছিল প্রায় ৭৫ হাজার নাট বল্টু। প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিটিই তাঁদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। যা বানাতে প্রয়োজন হয়েছে দু টন বাতিল যন্ত্রাংশ। নাট বল্টু থেকে শুরু করে ধাতব শিকল, চাকা, রড, ধাতব পাত, কী নেই তাতে! মূর্তিতে চুল, দাড়ি এবং চশমার সংযোজন করতে তাঁরা ব্যবহার করেছেন জিআই তার। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করার জন্য হায়দ্রাবাদ, বিশাখাপত্তনম, গুন্টুর এবং চেন্নাই-এর একাধিক স্ক্র্যাপ ডিলারের কাছে যাতায়াত করেছেন তাঁরা, জানাচ্ছেন ভেঙ্কটেশ্বর রাও। এই দুই ভাস্করের সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছিলেন আরও দশ জন। অবশেষে ৬০০ ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে তৈরি হয়েছে মূর্তিটি।
আরও শুনুন: ‘মাদক জেহাদ’-এ শামিল মুসলিমরা! বিশপের বক্তব্য মানতে নারাজ কেরলের মুখ্যমন্ত্রী
দু মাস আগে যে কাজ শুরু হয়েছিল তা আপাতত শেষ। অপেক্ষা কেবল মূর্তিটি স্থাপনের। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৬ তারিখেই বেঙ্গালুরু শহরে বসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মূর্তি।