পুজো কমিটিগুলিকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। এবারও ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব নষ্টের অভিযোগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে। পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রকে আরও সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। SSC-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুলের দায় স্বীকার করল কমিশন। আফগান মহিলাদের ওপর গুলি চালাল তালিবান।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 5 সেপ্টেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি, ভবানীপুরে প্রার্থী Mamata Banerjee
বিস্তারিত খবর:
1. দুর্গাপুজো আসন্ন। তার আগে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসল রাজ্য প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে পুজো, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল সকলের মনেই। এই পরিস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলিকে অভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে কী কী বিধি মেনে পুজো হবে, তা মঙ্গলবারের বৈঠকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগের বছর যে যে নিয়ম বলবৎ ছিল, এবারও তাই থাকবে। নতুন করে কোনও নিয়ম জারি করার নেই। প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। কঠোরভাবে পালন করতে হবে করোনাবিধি।” পরবর্তীতে নাইট কারফিউ ওঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে এবারও দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হল এদিন। মকুব করা হয়েছে পুজোর লাইসেন্স ফি-ও। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গতবারের মতো এ বছরও পুজোর অনুমতি চাওয়ার জন্য সিঙ্গল উইন্ডো পরিষেবা চালু থাকছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৫ তারিখ অর্থাৎ দশমী থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত হবে বিসর্জন। ১৮ তারিখ হতে পারে কার্নিভাল। উপনির্বাচনের পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্নিভাল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
2. অসন্তোষ মিটছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে রবিবার থেকে অনশনে বসেছেন সংগীত ভবনের ছাত্রীরা। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যেই বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন। বেতন ও পেনশন না দেওয়া, অনৈতিকভাবে বেতন কেটে নেওয়া, কথায় কথায় অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মীদের সাসপেন্ড করা, বহিষ্কার করা, বদলি করা-সহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উপাচার্যের সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা আদালতে চলছে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় বেড়েছে অনেকটাই। এমনকী ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার-সহ বহু পদ ফাঁকা রয়েছে।
বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, বলে আরজি জানিয়েছেন অধ্যাপকেরা। খবর, এবার যৌথ মঞ্চ করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা ছাড়াও তাতে যোগ দিতে চলেছে অধ্যাপকদের বড় অংশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজ, হস্তশিল্পীদের সংগঠন, বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতি-সহ বেশ কিছু সংগঠন।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।