শিম্পাঞ্জির শরীরে সর্দি-কাশি সংক্রমণকারী অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার প্রতিষেধক। সেই টিকা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও হতে পারে অস্ত্র। এমনটাই বলছেন একদল গবেষক। ঠিক কী বলছেন গবেষকরা? আসুন, শুনে নিই।
করোনা থেকে রক্ষা পেতে করোনার প্রতিষেধক টিকাই যে পরিত্রাণের পথ, তা এখন বিশ্বশুদ্ধু মানুষের জানা। তাই বলে ক্যানসার সারিয়ে দেবে করোনার টিকা?
হ্যাঁ, এমনটাই বলছেন একদল গবেষক। তবে যে কোনও টিকা নয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার প্রতিষেধকেই রয়েছে এই আশ্চর্য গুণ। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে একটি গবেষণা করেছে ইংল্যান্ডের লুডিগ ইন্সটিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চ। সেখানেই উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী সেই তথ্য?
আরও শুনুন: খরার মুখে গ্রাম, ‘দেবতা’কে সন্তুষ্ট করতে নগ্ন করে ঘোরানো হল কিশোরীদের
গবেষকদের দাবি, প্রাথমিকভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার টিকা করোনার প্রতিষেধকের কাজ করে তো বটেই, এইসঙ্গে শরীরে যাতে ক্যানসারের জীবাণু বাসা না বাঁধে তারও ব্যবস্থা করে। ক্যানসারের আবাসস্থল টিউমার হতে দেয় না।
আরও শুনুন: মেয়ের চোখ খুবলে নিয়েছে তালিবান, সব জেনেও মুখে কুলুপ বাবার
জেনে রাখা ভাল, যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে আদতে শিম্পাঞ্জির শরীরে সর্দি-কাশি সংক্রমণকারী অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করে। মানুষের শরীরে সেই প্রতিষেধক দেওয়া হলে তা করোনার ভাইরাসকে চিহ্নিত করে এবং শরীরে নতুন করে ছড়াতে দেয় না। এই ঘটনা অবশ্য স্বাভাবিক। করোনার টিকা তো করোনা জীবাণুকে মারবেই, রুখবেই। তাই বলে একই প্রতিষেধক ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও কাজে আসবে?
লুডিগ ইন্সটিটিউটের গবেষকরা কিন্তু তাই বলছেন। তাদের বক্তব্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার প্রতিষেধক মানুষের শরীরে দেওয়া হলে তা এমন দু’টি প্রোটিন তৈরি করে, যা ক্যানসার আক্রান্ত টিউমারেও থাকে। এবং ক্যানসার আক্রান্ত মন্দ কোষগুলিকে মেরে দেয়। অর্থাৎ কি-না অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনিকার করোনার প্রতিষেধক কাজ করে জোড়া ফলার মতো। সে করোনার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার রুখতেও ওস্তাদ।
এক মহামারী রোখার হাতিয়ার যদি আর এক বিপদ সামলানোর অস্ত্র হয়ে ওঠে, মানব সভ্যতার কাছে তার থেকে ভালো আর কী হতে পারে!