সংসারের এই মোহমায়া নিত্য। এই রূপসী ছলনার মায়ার বন্ধন এড়ানো অসাধ্য। এ মায়ার ঘোরে ভ্রান্তিবিলাস ছাড়া প্রাপ্তির ঘর শূন্য। রঙীন এই মায়ার মরীচিকাকে অস্বীকার করাও অসম্ভব, তা সত্ত্বেও প্রতিদিন এই দায়ভার বহন করতে হয় মনুষ্য জাতিকে।
সংসারের প্রহেলিকায় ডুবে যায় মানবিক সত্তা। মানুষ ভুলে যায় তার আপন অস্তিত্ব। তখন তার চোখে রঙীন প্রহেলিকা। লোভ, কাম, মাৎসর্যের আস্বাদনে মানুষ ডুবে যায় অতলান্তে। নিত্যনতুন রোমাঞ্চে গভীর থেকে গভীরতর হয় অবগাহন। সুখ-দুঃখের দোলাচলে ভেসে যায় সংসার জীবনে।
শোক-তাপ আসে ক্রমবিবর্তনে। ক্রমশঃ দুঃখপাশে জড়িয়ে পড়ে মনুষ্যজাতি। কিন্তু এ অন্ধকার থেকে উত্তরণের যে পথ নেই। নেই কোনও আলোয় ফেরার রাস্তা। মুক্তির পথ এখানে রূদ্ধ।
আরও শুনুন – Spiritual: মানুষ ভক্তির পথে কীভাবে অগ্রসর হবে?
সত্য বড় রুক্ষ। মোহ-মায়ার এই পৃথিবীতেই পূর্ণ করতে হয় জীবনচক্র। কারণ এ জীবন পূর্ণতার আস্বাদ ব্যতীত অর্থহীন। এই প়ৃথিবী আলো-ছায়ার অর্ন্তজাল। নিরবচ্ছিন্ন দুঃখ বা সুখ কোনওটাই সত্যি নয়। জীবনের অনায়াস যাপনের কিছু সারমর্ম রয়েছে। তা হল, “কুরুচি, কুমন্ত্রী যত নিকট হতে দিয়ে নাকো…।” এই বাণীর মধ্যেই রয়েছে সহজ জীবন যাপনের পথনির্দেশ। আপন পর চিনে নেওয়ার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় সহজ সরল জীবনের চাবিকাঠি। দুর্জনকে চিনে নিয়ে স্বজনকে আপন করার মধ্যেই রয়েছে অমৃতের আস্বাদ।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন—
কাঙক্ষন্তঃ কর্মণাং সিদ্ধিং যজন্ত ইহ দেবতাঃ।
ক্ষিপ্রং হি মানুষে লোকে সিদ্দির্ভবতি কর্মজা।।
আরও শুনুন – Spiritual: নিষ্ঠার সঙ্গে যিনি কাজ করেন তিনিই মহৎ ব্যক্তি
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ইহলোকের কামনার কথাই ব্যক্ত করেছেন এখানে। জীবনের চাওয়া পাওয়া পূরণের জন্য ইষ্টদেবতার পুজো করে মনুষ্যজাতি কর্মফলের আশায়। কিন্তু মুক্তিলাভের পথ এতে মেলে না। এই জীবনের কর্মের ফল মনুষ্যজাতিকে এই জন্মেই ভোগ করতে হয়। সুকর্মের চিন্তা না করে মনুষ্যজাতি ভগবানের শরণাপন্ন হয় যাতে তাকে তার পাপকার্যের ফল ভোগ করতে না হয়।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।