হট সিটে বিচারকরা। আর হট স্টেজে ছজন ফাইনাল প্রতিযোগী। এটাই ছিল গত রবিবারের ইন্ডিয়ান আইডল ১২-র ফিনালের ছবি। রবিবার দুপুর বারোটা থেকে রাত বারোট। বারো ঘণ্টার লাইভ শোয়ের টানটান উত্তেজনা, দর্শক, বিচারকদের উদ্বিগ্ন মুখ। তারপরের ঘটনাটা সবার জানা। ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২-র লাইভ শোয়ের শেষ ফোকাস এসে পড়ল পবনদীপ রাজনের ওপর। অর্থাৎ এবারের সেরা পবনদীপ রাজন। কেমন ছিল তাঁর জার্নি?
এ যেন গলি থেকে রাজপথে আসার গল্প। অবশ্য স্বপ্নের মায়নগরীর কাছে এ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগেও এই শহরের হাত ধরে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অনেকের। অনামী কেউ রাতারাতি হয়ে গিয়েছে স্টার। ঠিক যেমনটা ঘটল পবনদীপের জীবনেও। তবে পবনদীপের পথচলা শুরু হয়েছিল খানিকটা আগেই। ইন্ডিয়ান আইডলের আগে পবনদীপ ২০১৫ ভয়েস অফ ইন্ডিয়ার সিজন ১ এর উইনার ছিলেন। মারাঠি ছবিতে মিউজিক ডিরেকশনের কাজও করেছেন। গান গেয়েছেন হিন্দি ও মারাঠি ছবিতেও। একাধিক কনসার্ট করেছেন বিদেশে। উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন ‘ইয়ং অ্যাম্বাসাডর অফ উত্তরাখন্ডে’-র শিরোপা। গান গেয়ে মন জয় করাই শুধু নয় পবন গিটার, কি বোর্ড, তবলা, ঢোলকের মত যন্ত্র বাজাতেও ওস্তাদ। তবে এবারের প্ল্যাটফর্ম ছিল একেবারে আলাদা। এতদিন যাঁদের গান শুনে বড় হয়েছেন, এবার তাঁদেরই গান শোনানোর পালা। তাঁরাই চুলচেরা বিচার করবেন তার গানের, জিততে হবে পর্দার সামনে ও পিছনের অসংখ্য শ্রোতার মন।
আরও শুনুন: এই প্রথম দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত, পর্দার পুরোহিত Ritabhari বললেন ‘অ্যাওয়ার্ডের থেকেও বড় পাওনা’
একটার পর একটা রাউন্ড শেষ হয় আর এগিয়ে যেতে থাকেন পবনদীপ। এর মাঝখানেই চলে আসে ট্রোলিং-এর ঘটনা। কিন্তু এতদিনে মায়ানগরীর সঙ্গে রপ্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। আর শেষ স্নায়ুযুদ্ধে লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন তিনিই। ঘোষণা করা হল ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’ বিজেতা পবনদীপ রাজন। সঙ্গীতের মহাযুদ্ধের মঞ্চে লেখা হয়ে গেল আর এক নক্ষত্রের নাম।
উত্তরাখন্ডের এক ছোট্ট গ্রাম। চম্পাওয়াত। সেখানে বসেই পবনদীপ স্বপ্ন দেখতেন গায়ক হওয়ার। আর সেই স্বপ্ন নিয়েই তাঁর পথচলা। বিজয়ী হিসাবে নিজের নাম শোনার কিছুক্ষণ পর পবনদীপের প্রতিক্রিয়া- বিজয়ীর শিরোপা তাঁর মাথায় উঠবে এটা আশাই করেননি তিনি। অডিশনের দিন থেকেই তিনি যে নার্ভাস ছিলেন সে-কথাও স্বীকার করতে ভোলেননি।
আরও শুনুন: সেলেবদের হাতে Lucky Charm, সত্যিই কি বদলে দিয়েছিল ভাগ্য?
ভোলেননি তাঁর ছোট্ট গ্রামের কথাও। যেখানে আরও অনেক পবনদীপ অপেক্ষা করে আছে সংগীত শেখার আশায়। প্রাইজ মানি হিসাবে পবনদীপ পেয়েছেন ২৫ লক্ষ টাকা। এই টাকার থেকে তাঁর গ্রামে তৈরি করবেন মিউজিক স্কুল। যেখানে গান শেখার সব সুযোগ পায় গ্রামের ছেলেমেয়েরা। তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতের পবনদীপ।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।