সুখী হওয়ার ধরাবাঁধা বয়স আছে নাকি? গবেষণা বলছে, আছে বইকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এ বিষয়ে গবেষকদের কী মত।
ধরুন আপনার হাতে এসে গেছে এমন কোনও আশ্চর্য ওষুধ, যা খেলে আপনি ইচ্ছেমতো বয়স কমিয়ে কিংবা বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। বলুন দেখি, সত্যিই এমনটা হলে কোন বয়সে থাকতে চাইবেন আপনি?
আরও শুনুন: হিন্দু হয়েও ৪০০-র বেশি মসজিদ বানিয়েছেন দেশের এই Mosque Man
আসলে মানুষ তো সেই সময়েই থেকে যেতে চায়, যখন খুব বেশি দুঃখ দুর্দশার উৎপাত তাকে সহ্য করতে হয় না। অর্থাৎ যখন সে খুব সুখী। সম্প্রতি একটি গবেষণা হয়েছিল এই বিষয় নিয়েই। গবেষকেরা খুঁজে দেখতে চেয়েছিলেন সাধারণত কোন বয়সে মানুষ নিজেকে সবচেয়ে সুখী মনে করে।
আরও শুনুন: Monsoon: বর্ষায় ঘরকে জীবাণুমুক্ত রাখতে চান? ঘরেই বানিয়ে ফেলুন জীবাণুনাশক
অনেকেই বলে থাকেন, যে-কোনও মানুষের জীবনের স্বর্ণযুগ হল তার শৈশবকাল। যখন তার ওপর কোনও দায়দায়িত্বের বোঝা চাপে না, যখন টাকাকড়ি-খ্যাতি-উন্নতির সিঁড়িভাঙা অঙ্কে নামতে হয় না, সেই সময়ে ফিরে যেতে চান অনেকেই। কেউ কেউ চান যৌবনের শুরুর দিনগুলো যদি ফিরে পাওয়া যেত! অথচ এইসব ধ্যানধারণাকে বদলে দিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে আসা তথ্যটি। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মানুষ যে সময়টিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অবস্থা বলে মনে করছেন, তা মোটেই ছোটবেলা নয়, টিনএজও নয়, বরং যৌবনের প্রায় শেষ প্রান্তের একটা সময়। কমবেশি ৩৬ বছর বয়স।
কেউ কেউ হয়তো ভাববেন, সে কী! এই সময়ে নাহয় পড়াশোনা শেষ, চাকরিবাকরিও শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু তাতে তো দায়িত্ব বেড়েছে বই কমেনি! কেরিয়ারে পদোন্নতি নিয়ে চিন্তা তো নিত্যসঙ্গী। তার ওপর দাম্পত্য, কারও কারও ক্ষেত্রে সন্তান, বয়স্ক বাবা-মার যত্ন, সব মিলিয়ে তো নাজেহাল হওয়ার কথা। কিন্তু গবেষকেরা দেখেছেন, মানুষ মনে করছেন যে এতদিন তাঁরা ঘরে বাইরে দুটো দিক গুছিয়ে তোলার জন্য যা পরিশ্রম করেছেন, এখন তার ফসল তোলার পালা। তাই মোটামুটি ৩০ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সময়টার তাঁরা নাম দিচ্ছেন ‘প্রতিষ্ঠিত সাবালক দশা’। এই সময়ে চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে রয়েছে আনন্দও।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।