মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে একাধিক প্রতিশ্রুতি আমেরিকার। তেল-গ্যাস সরবরাহে নয়া চুক্তি, ভারতকে এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়ার আশ্বাস। প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে ফেরাবে ভারত, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদির। চাকরির সুপারিশে নাম দিব্যেন্দু অধিকারী, ভারতী ঘোষের। CBI চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য। অন্ধ্রপ্রদেশে বাড়ছে বার্ড ফ্লু। গোদাবরী অঞ্চল থেকে ৩ মাসের জন্য ডিম-মুরগি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বাংলায়। দীর্ঘ কর্মজীবনের পর অবসর নিলেন রাজীব কুমার।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. মার্কিন মুলুকে মোদি-ট্রাম্প দিপাক্ষিক বৈঠক। আর সেখানেই একাধিক প্রতিশ্রুতি দিল আমেরিকা। জানা গিয়েছে, এবার আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করবে ভারত। পাশাপাশি মার্কিন ফাইটার জেট এফ ৩৫ও আসবে ভারতের হাতে। বৈঠকের পর তেল-গ্যাস সরবরাহ নিয়ে চুক্তি সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, চড়া শুল্ক চাপানোর নীতিতে অনড় থেকেও দর কষাকষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প জানান, মোদির মতো শক্তহাতে দর কষাকষি করতে পারেন না তিনি। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মত, ভারত যেমন শুল্ক চাপায় ঠিক সেই মতোই শুল্ক বসাচ্ছে আমেরিকাও। যদিও, কেবল ভারত নয়, একাধিক দেশের উপর চড়া শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্বপ্নের অন্যতম পদক্ষেপ হিসাবেই চড়া শুল্কনীতিকে বেছে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাবা হয়েছিল মোদির সঙ্গে বৈঠকে সেই নীতি কিছুট হলেও বদলাবে, তবে বাস্তবে এমনটা হল না।
2. মার্কিন মুলুক থেকে প্রত্যেক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নাগরিককে ফিরিয়ে নেবে ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সাফ কথা, বেআইনিভাবে প্রবেশ করে বিশ্বের কোনও দেশেই থাকার অধিকার নেই। তাঁর দাবি, আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে পাচার করা হচ্ছে। এদিকে, সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে এক সুরে পাকিস্তানকে বিঁধেছে ভারত ও আমেরিকা। যৌথ বিবৃতিতে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। বিষয়টিকে অনেকেই ভারতের বিরাট কূটনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছেন। কিন্তু মোদির সঙ্গে একই সুরে ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে চূড়ান্ত হতাশ ও স্তম্ভিত ইসলামাবাদ। অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, এই বয়ান একতরফা ও বিভ্রান্তিকর। পাশাপাশি, মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব মোদিকেই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট চলছে সেখানে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।