চা বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী! নরেন্দ্র মোদির জীবনের এই কাহিনি মোটের উপর সকলেরই জানা। কিন্তু তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী না হতেন? তাহলেই কি এমন জনপ্রিয় হতে পারতেন? খুদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন খোদ মোদিই। কী বললেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
খুদের দুনিয়ায় হাজার প্রশ্ন! সব অজানাকে জেনে নেওয়ার আশ্চর্য চাহিদায় সবসময় দৌড়ে বেড়াচ্ছে তারা। কোথাও এতটুকু সুযোগ পেলেই প্রশ্নের পসরা সাজিয়ে বসে পড়া। উত্তর যাই হোক, সব কিছু শুনতে রাজি খুদের মন। এমনই এক খুদের প্রশ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রী না হলে কী হতেন নরেন্দ্রে মোদি? আর সেই প্রশ্ন করার সুযোগ সে পেয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদিকেই। প্রশ্ন শুনে অবশ্য এতটুকু চটে যাননি মোদি, বরং যথাযোগ্য জবাব দিয়েছেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী। চাইলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায় না। কথা বলা তো দূর অস্ত। তবে মোদি খানিক ব্যতিক্রমী চরিত্র, একথা বলাই যায়। জনসভা, রোড-শো, মোদিকে জনতার মাঝে নেমে আসতে দেখা যায় হামেশাই। এছাড়া কখনও তরুণ ইউটিউবার, কখনও খেলোয়াড়, কখনও অভিনেতাদের নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠান। দেশের বর্তমান পরস্থিতি এবং সেখানে তাঁদের কী ভূমিকা এই নিয়ে আলোচনা করেন। মোটের উপর মোদির এই জনসংযোগের বিশেষ গুণটি সর্বত্র সমাদৃত। সম্প্রতি এমনই এক অনুষ্ঠানে খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে মোদিকে। অনুষ্ঠানের নাম ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। যেখানে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বয়সের বিচারে এরা একেবারে খুদে না হলেও, প্রশ্নের ভাণ্ডার এদেরও কিছুমাত্র কম নয়। মোদি অবশ্য তাতে বিরক্ত হন না এতটুকু। বরং ধৈর্য ধরে উত্তর দেন। মূলত পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠান হলেও, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় যোগ দিতে পারেন অভিভাবক এবং শিক্ষকেরাও। ছাত্রছাত্রীদের ব্যর্থতা থেকে শেখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষার চাপ নিতে বারণ করেন। তাঁর পরামর্শ, শুধু পড়াশোনাতেই সাফল্য খুঁজলে হবে না। সামগ্রিক সাফল্যের পথে হাঁটতে হবে। আর এই প্রসঙ্গ ধরেই নিজের জীবনের কথা বলেন মোদি।
আসলে, এক খুদের প্রশ্ন ছিল ব্যক্তি মোদি সম্পর্কে। আর সেখানেই মোদি অকপটে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী না হলে তিনি কী হতেন! বললেন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রির অংশ হতেন। অর্থাৎ কৌশল বিকাশ মন্ত্রালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। নেপথ্যে যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর দাবি, স্রেফ পড়াশোনা শিখলেই হল না, শিখতে হবে বিভিন্ন ধরনের স্কিল। এক্ষেত্রে কারিগরি বিদ্যার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন মোদি। আসলে, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে অনেকেই রীতিমতো অবসাদে ভোগেন। পরীক্ষার আগেই পড়ুয়ারা যেন ফলাফলের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় না ভোগেন, তাই আগেভাগে বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে তাদের চাঙ্গা করতে চেয়েছেন মোদি। বরাবরই দেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাক, এই তত্ত্বের প্রচার করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। স্রেফ কথার কথা নয়, বাস্তবেই দেশের তরুণদের জন্য নানা কর্মসূচি করেছেন। পরীক্ষা পে চর্চার উদ্দেশ্যও খানিকটা তেমন। তাই নিজের জীবনের কথা বলে সকলকে চমকে দিয়েছেন নমো।